একসেট বই কিনেছিলাম বিসিএস দেওয়ার জন্য: শাহরিয়ার নাফীস
বাংলাদেশ জাতীয় দলের একসময়কার দুর্দান্ত বাঁহাতি ওপেনার শাহরিয়ার নাফীস আহমেদ ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, জাতীয় দল থেকেও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চান্স পাওয়া সে সময় আমার জন্য বেশ চ্যালেঞ্জিং ছিল।
১৯৯৬ সালে নাফীস সেন্ট যোসেফ উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে সপ্তম শ্রেণীতে ভর্তি হন এবং ২০০১ সালে সেখান থেকে এসএসসি পাস করেন। তারপর তিনি নটর ডেম কলেজে ভর্তি হন এবং ২০০৩ সালে সেখান থেকে ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগে এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। এরপর নাফীস ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করেন।
ক্রিকেট৯৭-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে নাফীস বলেন, জাতীয় দলে চান্স পাওয়া নাকি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পাওয়া— এই দুইটার মধ্যে তুলনা করলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স আমার জন্য ওই সময়ে বেশ চ্যালেঞ্জিং ছিল।
“এইচএসসি পরীক্ষা শেষ করে এক বছর খেলা নিয়েই বিকেএসপিতেই ব্যস্ত ছিলাম। এই সময়ে ঢাবির আইবিএ ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিলেও চান্স হয়নি। পরের বছর অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের টিম থেকে বাদ পড়ার এক সপ্তাহ পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা ছিল। পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে চান্সও পেয়ে গেলাম।”
তিনি বলেন, জাতীয় দলের চান্স পাওয়ার চেয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চান্স পাওয়ার মধ্যে অন্যরকম অনুভূতি ছিল। ডি ইউনিটে ২২ হাজার পরীক্ষার্থীর মধ্যে আমি ৮৮তম হয়েছিলাম এবং সি ইউনিটে সিরিয়াল ছিল ৪৭৩তম।
“তখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চান্স পাওয়া একটা বড় চ্যালেঞ্জ ছিল। তবে ভর্তি হয়ে ক্লাস যখন শুরু করি প্রায় ৮০ শতাংশ বৃত্তি পেয়েছিলাম। কারণ এইচএসসিতে আমি সারা দেশে ৮৭তম হয়েছিলাম।”
বিসিএস ছেড়ে কেন জাতীয় দলে যোগ দিলেন এমন প্রশ্নের জবাবে নাফীস বলেন, বিসিএস এখন অনেক লুকরেটিভ জব। বাংলাদেশ সরকার শেষ ১০ বছরে সরকারি চাকরির সুবিধা অনেক বেড়েছে। এটার স্ট্রাকচার বেশ ডেভলপ করেছে। সেজন্য এখন দেখা যায়, বুয়েট থেকে পড়ে একজন শিক্ষার্থী বিসিএস ক্যাডারের দিকে ঝুঁকছে।
তিনি আরও বলেন, আমাদের সময় বিসিএস এতোটা লুকরেটিভ জব ছিল না। তবে মানুষ কাজের চেয়ে সম্মানটা বেশি দেয়। মাঝে মাঝে আমার অবাক লাগে দেখে যে, একজন শিক্ষার্থী মেডিকেল পাস করেও বিসিএস দিচ্ছে। আমাদের সময় বিবিএর কিছু ভাইকে বিসিএস-এর প্রস্তুতি নিতে দেখে ভাবতাম, কেন সরকারি চাকরির প্রস্তুতি নিচ্ছে? তবে আগের চেয়ে সরকারি চাকরি এখন অনেক লুকরেটিভ।
“তবে, একবার আমিও একসেট বই কিনেছিলাম বিসিএস দেওয়ার জন্য। আসলে ব্যাপারটা কি! তবে আর প্রস্তুতি নেওয়া হয়নি। বিকেএসপির দিকেই আমার আগ্রহ বেশি ছিল।”