পেলে-ম্যারাডোনার পাশে এবার মেসির ভাস্কর্য
আর্জেন্টিনার ৩৬ বছরের বিশ্বকাপ খরা ঘুচেছে লিওনেল মেসির হাত ধরে। তার পর থেকে রাজকীয় সব অভ্যর্থনা পাচ্ছেন তিনি। তাকে এবার আরও বড় সম্মাননা উপহার দিলো দক্ষিণ আমেরিকা ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা কনমেবল। পাশাপাশি দুই লিওনেল মেসি। ৩৫ বয়সী মেসির ভাস্কর্য নির্মিত হয়েছে কনমেবল মিউজিয়ামে। কনমেবলের সদর দপ্তরে জাদুঘরে আরও দুই কিংবদন্তি পেলে ও দিয়েগো মারাদোনার পাশেই থাকবে মেসির ওই ভাস্কর্য।
সোমবার (২৭ মার্চ) কোপা লিবার্তাদোরেসের ড্র অনুষ্ঠানের আগেই বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের সম্মাননা জানায় কনমেবল। ভাস্কর্যের পাশাপাশি মেসিকে বিশ্বকাপ ও ফিনালিসিমা ট্রফির একটি রেপ্লিকাও উপহার দেওয়া হয়েছে।
শুধু কী তাই, এদিন কনমেবল প্রেসিডেন্ট আলেহান্দ্রো দমিনগেজ মেসিকে বিশ্ব ফুটবলের ‘শাসক’ ঘোষণা করেছেন।
খালি হাতে ফেরেনি তার সতীর্থসহ কোচ লিওনেল স্ক্যালোনিও। তাদের সবাইকে ট্রফিগুলোর ক্ষুদ্রকায় সংস্করণ উপহার দেওয়া হয়েছে। সেই ক্ষুদ্রকায় সংস্করণে কোপা আমেরিকার ট্রফিও রয়েছে।
গত বছরের ডিসেম্বরে বিশ্বকাপ জেতার আগেও আরও দুটি আন্তর্জাতিক ট্রফি জিতেছিলেন মেসি। ২০২১ সালে ব্রাজিলকে হারিয়ে কোপা আমেরিকা জেতার পর ইতালিকে হারিয়ে লা ফিনালিসিমা। গতকাল বিশ্বকাপ ট্রফির রেপ্লিকা ও ফিনালিসিমা ট্রফির রেপ্লিকাও উপহার দেওয়া হয় মেসির হাতে।
উচ্ছ্বসিত মেসিও সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, 'ঈশ্বরকে ধন্যবাদ, ফুটবল ক্যারিয়ারে আমি সবকিছুই অর্জন করতে পেরেছি। আমার সব সতীর্থদের ধন্যবাদ, এত সুন্দর উপহার দেওয়ার জন্য। কনমেবলকেও ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আমরা খুবই বিশেষ আর দারুণ একটি মুহূর্তে কাটাচ্ছি। অনেক অনেক ভালোবাসা পাচ্ছি। লাতিন আমেরিকান কোনো দেশের বিশ্বকাপ জেতার সময়ই ছিল এটা।'
মেসি আরও বলেছেন, ‘এই বিশ্বকাপ দিয়ে আমি পূর্ণতা পেয়েছি। যার খোঁজে অনেক দিন ছিলাম। সৃষ্টিকর্তাকে ধন্যবাদ সব কিছু অর্জন করেছি। সতীর্থদেরও ধন্যবাদ, যারা এই সুন্দর এই উপহারটি আমায় উপহার দিয়েছে। অনেক লম্বা পথ পাড়ি দিতে হয়েছে আমাকে। সেই পথে অনেক মোড় এসেছে, পরাজয় এসেছে।
তবে আমি সবসময় সামনে তাকিয়েছি এবং সাফল্য অর্জন করতে চেয়েছি, বিজয় চেয়েছি। আমার মনে হয়, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার এটিই, স্বপ্নকে তাড়া করা, সবকিছুকে সম্ভব করতে লড়াই করা এবং খেলা উপভোগ করা, যেটি সবচেয়ে সুন্দর।