কুরাসাওয়ের বিপক্ষে ভোরে মাঠে নামছে আর্জেন্টিনা
কাতার বিশ্বকাপে পানামার বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচটি ছিল বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর প্রথম ম্যাচ আর্জেন্টিনার। প্রীতি ম্যাচটি মাঠে বসে উপভোগ করতে আগ্রহ দেখায় ১৫ লাখেরও বেশি মানুষ। তবে তিনবার বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হওয়ায় তিন তারকা জার্সি পরে মাঠে নামাটাই মুখ্য ছিল মেসি-দি মারিয়াদের জন্য। দ্বিতীয় ও শেষ প্রীতি ম্যাচে আগামীকাল আবারও নামছে আর্জেন্টিনা। তবে এ ম্যাচের প্রতিপক্ষ যারা, তাদের নামও শোনেনি আগে অনেকে। মেসিদের প্রতিপক্ষ অখ্যাত কুরাসাও।
আগামীকাল বুধবার (২৯ মার্চ) ভোর সাড়ে ৫টায় মাঠে নামছে আর্জেন্টিনা।
দক্ষিণ ক্যারিবিয়ান সাগর ও ডাচ ক্যারিবিয়ান অঞ্চলের দ্বীপদেশ কুরাসাওয়ের আয়তন মাত্র ২৭৬ বর্গমাইল। ১৯২৪ সালে ফুটবল শুরু দেশটিতে। আধুনিক ফুটবলে প্রবেশ করে ২০১১ সালে। ওই বছরই ফিফার পূর্ণ সদস্যপদ পায় কুরাসাও। র্যাঙ্কিংয়ে তাদের অবস্থান ৮৬ নম্বরে।
শেষ ৫ প্রীতি ম্যাচে জয় আর সব মিলে টানা ৭ ম্যাচ অপরাজিত আলবিসেলেস্তে। তাই এবার হয়তো নতুন মুখদের একটু পরখ করে নেবেন কোচ স্কালোনি। বিপরীতে মেসি ও আর্জেন্টিনার সঙ্গে খেলতে তর সাইছে না কুরাসাওয়ের। দেশটির বর্তমান ফিফা র্যাঙ্কিং ৮৬।
কুরাসাওয়ের একজন ফুটবলার বলেন, মেসি বিশ্বের অন্যতম সেরা ফুটবলার। হয়তো সর্বকালের সেরাও। তার বিপরীতে খেলতে মুখিয়ে আছি। ভাবা যায় বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ও প্রজন্মের সেরা ফুটবলারের সঙ্গে আমরা খেলতে যাচ্ছি।
কুরাসাওয়ের সবচেয়ে বড় সাফল্য ২০১৭ সালে ক্যারিবিয়ান কাপের চ্যাম্পিয়ন হওয়া। এছাড়া ২০১৯ সালে কনকাকাফ নেশন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনালে খেলেছিল কুরাসাও। মেসিদের এই প্রতিপক্ষ কাতার বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতাই অর্জন করতে পারেনি।
তবে বাছাইপর্ব একদম খারাপ যায়নি তাদের। নিজ অঞ্চলে ৬ ম্যাচ খেলে ৩ জয়ের বিপরীতে ড্র করেছে ২টি, হার মাত্র ১ ম্যাচে। সবকিছুর পুরস্কারও পেয়েছে। আর্জেন্টিনার নজরে আসার চেয়েও বড় বিষয় ফিফা র্যাংকিংয়ে তাদের বর্তমান অবস্থান ৮৬।