টাইগারদের দ্রুততম ওয়ানডে সেঞ্চুরির যত রেকর্ড
বাংলাদেশি ব্যাটারদের মধ্যে ওয়ানডেতে দ্রুততম সেঞ্চুরি করার রেকর্ড এখন মুশফিকের। এর আগে এই রেকর্ড ছিল সাকিব আল হাসানের। ২০০৯ সালে বুলাওয়েতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৬৩ বলে সেঞ্চুরি করেছিলেন সাকিব। বাংলাদেশের ইনিংসের ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ৯ম সেঞ্চুরি মুশফিকের। এর আগে এই সংস্করণে ২০২১ সালের মে মাসে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে মিরপুরে সর্বশেষ সেঞ্চুরি পেয়েছিলেন মুশফিক। দ্রুততম সেঞ্চুরি করার রেকর্ড আছে সৌম্য সরকারেরও।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১৫ হাজার রান করেছেন তামিম ইকবাল। আর ওয়ানডেতে তৃতীয় বাংলাদেশি ক্রিকেটার হিসেবে ৭০০০ রান করেছেন মুশফিকুর রহিম। ওয়ানডেতে ২০০০ রান করে ওয়ানডেতে বাংলাদেশের সেরা দশ রান সংগ্রাহকের তালিকায় এসেছেন লিটন দাস।
তামিম ইকবাল ও সাকিব আল হাসানের পর তৃতীয় বাংলাদেশি হিসেবে এ সংস্করণে ৭ হাজার রানের দেখা পেলেন মুশফিক। বাংলাদেশের হয়ে ওয়ানডেতে দ্রুততম ৭ হাজার রানের রেকর্ড তামিমের। ক্যারিয়ারের ২০৬তম ম্যাচ ও ২০৪তম ইনিংসে এসে ৭ হাজার রানের দেখা পেয়েছিলেন তামিম। এই সংস্করণে অভিষেকের পর মাইলফলকটির দেখা পেতে তাঁর সময় লেগেছে ১৩ বছর ২৩ দিন।
সাকিব একই মাইলফলক ছুঁয়েছেন ২২৮তম ম্যাচে ২১৬তম ইনিংসে। তাঁর সময় লেগেছে ১৬ বছর ২২৪ দিন। মুশফিকের লাগল ১৬ বছর ২২৬ দিন। তামিম ৭ হাজার রানের মাইলফলক ছুঁয়েছেন ২০২০ সালে এই সিলেটেই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। সাকিব গত শনিবার আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে এই সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে। ওয়ানডেতে দ্রুততম ৭ হাজার রানের রেকর্ড হাশিম আমলার। ১৫০তম ইনিংসে মাইলফলকটি ছুঁয়েছিলেন সাবেক এই প্রোটিয়া ওপেনার।
মুশফিকুর রহিম (৬০ বল)- আয়ারল্যান্ড
ব্যাট হাতে খুবই বাজে সময় যাচ্ছিলো মুশফিকের। কোনো ফরমেটেই রানের দেখা পাচ্ছিলেন না। সিরিজের প্রথম ম্যাচেই রুদ্রমূর্তির কিছুটা দেখা গিয়েছিলো। দ্বিতীয় ওয়ানডেতে এসে যেন নিজেকেই ছাড়িয়ে যাচ্ছিলেন মুশফিক। ৩৪ তম ওভারে যখন ক্রিজে আসলেন তখন সেঞ্চুরি করাটা কিছুটা কঠিনই বটে। সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে মুশফিকের এই ৬০ বলে ১৪ চার আর দুই ছক্কা ১০০ রানের ইনিংসটি বাংলাদেশের ওয়ানডে ইতিহাসের সবচেয়ে দ্রুততম সেঞ্চুরি।
সাকিব আল হাসান (৬৩ বল)- জিম্বাবুয়ে
সাকিব আল হাসানের ৬৩ বলে সেঞ্চুরির রেকর্ড টিকে ছিলো ১৪ বছর আগে ২০০৯ সালে জিম্বাবুয়ের বুলাওয়েতে। পাঁচ নম্বরে ব্যাট করতে নেমে সেদিন জিম্বাবুয়ের বোলারদের তুলোধুনো করতে থাকেন এই অলরাউন্ডার। রান আউটের শিকার হয়ে নয়টি চার আর চারটি ছক্কায় সাজানো এই ইনিংস থামে ৬৪ বলে ১০৪ রানে।
সাকিব আল হাসান (৬৮ বল)- জিম্বাবুয়ে
২০০৯ সালের ২৯ অক্টোবরে মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে জিম্বাবুয়ে বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ৬৮ বলেই সেঞ্চুরি করেছিলেন এই সাকিব। ইনিংসে তিন ছক্কা ও ১৫ টি চার হাঁকিয়েছিলেন এই অলরাউন্ডার।
মুশফিকুর রহিম (৬৯ বল)- পাকিস্তান
পাকিস্তান ২০১৫ সালে বিশ্বকাপের পরপরই বাংলাদেশ সফরে আসে। প্রথম ম্যাচেই ব্যাটিংয়ে নেমে যেন রেকর্ড ভাঙা গড়ার খেলায় মেতে উঠেন বাংলাদেশের ব্যাটাররা। তামিম ইকবালের সেঞ্চুরির পর মাত্র ৬৯ বলে মুশফিকুর রহিমও তুলে নেন সেঞ্চুরি। ১৯৯৯ বিশ্বকাপের ১৬ বছর পর সেই ম্যাচেই প্রথমবারের মত পাকিস্তানকে হারায় টাইগাররা।
সৌম্য সরকার (৮১ বল)- জিম্বাবুয়ে
২০১৮ সালের জিম্বাবুয়ে সিরিজ দিয়েই জাতীয় দলে ফিরেছিলেন সৌম্য সরকার। দলে ফিরলেও প্রথম দুই ওয়ানডেতে একাদশে জায়গা মেলেনি এই ব্যাটারের। তৃতীয় ম্যাচে একাদশে জায়গা পেয়েই সব আলো নিজের দিকে টেনে নিলেন সৌম্য। মাত্র ৮১ বলে করা সৌম্যর সেঞ্চুরি ইনিংসটি থামে নয়টি চার ও ছয়টি ছক্কায় সাজানো ৯২ বলে ১১৭ রানে।
ওয়ানডেতে বাংলাদেশের পাঁচ সর্বোচ্চ স্কোর
৩৪৯ /৬; প্রতিপক্ষ: আয়ারল্যান্ড; ভেন্যু: সিলেট; ২০২৩
৩৩৮ /৮; প্রতিপক্ষ: আয়ারল্যান্ড; ভেন্যু: সিলেট; ২০২৩
৩৩৩ /৮; প্রতিপক্ষ: অস্ট্রেলিয়া; ভেন্যু: ট্রেন্ট ব্রিজ; ২০১৯
৩৩০ /৬; প্রতিপক্ষ: দক্ষিণ আফ্রিকা ভেন্যু: দ্য ওভাল; ২০১৯
৩২৯ /৬; প্রতিপক্ষ: পাকিস্তান; ভেন্যু: মিরপুর; ২০১৫
ওয়ানডেতে বাংলাদেশের দ্রুততম সেঞ্চুরি
৬০ বল: মুশফিকুর রহিম; প্রতিপক্ষ: আয়ারল্যান্ড; ভেন্যু: সিলেট; ২০২৩
৬৩ বল: সাকিব আল হাসান; প্রতিপক্ষ: জিম্বাবুয়ে; ভেন্যু: বুলাওয়ে; ২০০৯
৬৮ বল: সাকিব আল হাসান; প্রতিপক্ষ: জিম্বাবুয়ে; ভেন্যু: মিরপুর; ২০০৯
৬৯ বল: মুশফিকুর রহিম; প্রতিপক্ষ: পাকিস্তান; ভেন্যু: মিরপুর; ২০১৫
৮১ বল: সৌম্য সরকার; প্রতিপক্ষ: জিম্বাবুয়ে; ভেন্যু: চট্টগ্রাম; ২০১৮
ওয়ানডেতে বাংলাদেশের শীর্ষ পাঁচ রানসংগ্রাহক
তামিম ইকবাল: ৮১৬৯
সাকিব আল হাসান: ৭০৮৬
মুশফিকুর রহিম: ৭০৪৫
মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ: ৪৯৫০
মোহাম্মদ আশরাফুল: ৩৪৬৮