ধর্ষণ মামলায় স্পেনের কারাগারে ব্রাজিল তারকা দানি আলভেজ
ধর্ষণের অভিযোগে আটক সাবেক বার্সেলোনা ও ব্রাজিল তারকা দানি আলভেজকে বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত কারাগারে আটক রাখার সিদ্ধান্ত দিয়েছেন বার্সেলোনার প্রাদেশিক আদালত। অভিযুক্ত আলভেজের স্পেন ছেড়ে যাওয়ার ঝুঁকি থাকার কারণে এ সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়েছে বলে জানান আদালত।
এক বিবৃতিতে আদালতের পক্ষ থেকে বলা হয়, পালিয়ে যাওয়ার অধিক ঝুঁকি রয়েছে। কারণ, এ ধরনের মামলায় কড়া সাজা হতে পারে। তার বিরুদ্ধে অপরাধের গুরুতর প্রমাণ রয়েছে এবং আর্থিক সামর্থ্য তাকে যেকোনো সময় স্পেন থেকে পালিয়ে যাওয়ার পথ করে দিতে পারে।
আদালতের বিশ্বাস, শুধু পাসপোর্ট কেড়ে নিয়ে ৩৯ বছর বয়সী আলভেজকে স্পেন ছেড়ে যাওয়া থেকে আটকানো যাবে না। বিবৃতিতে বলা হয়, আকাশ কিংবা সমুদ্র, এমনকি সড়ক পথে কোনো ধরনের নথিপত্র ছাড়া সে স্পেন ছাড়তে পারে।
আদালত জানান, আলভেজ যদি কোনোভাবে তাঁর জন্মস্থান ব্রাজিলে ফিরে যান, তাহলে ব্রাজিল সরকার স্পেনের কাছে তাঁকে হস্তান্তর করবে না। কারণ, দক্ষিণ আমেরিকান দেশটি সাধারণত নিজেদের নাগরিকদের বিচারের জন্য অন্য দেশে হস্তান্তর করে না। আর এ কারণে পাবলিক প্রসিকিউটর অফিস তাঁর মুক্তির বিরোধিতা করেছে।
এর আগে গত ২ জানুয়ারি আলভেজের বিরুদ্ধে এক নারী বার্সেলোনার নৈশ ক্লাবে ধর্ষণের অভিযোগ আনেন। ঘটনাটি ঘটেছে অবশ্য গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর। আলভেজ ওই সময় মেক্সিকান ক্লাব পুমাসের খেলোয়াড় ছিলেন। বর্ষবরণের রাতে কয়েকজন বন্ধুকে সঙ্গে নিয়ে তিনি বার্সেলোনায় একটি নৈশ ক্লাবে যান। সেখানে সেই নারীও ছিলেন।
এক দিন পর সেই নারী অভিযোগ করেন ব্রাজিলিয়ান তারকা তাঁর শরীরে স্পর্শ করার চেষ্টা করেছেন। আলভেজ ততক্ষণে মেক্সিকোয় ফিরে গেছেন। অভিযোগ ওঠার পর পুমাসের হয়ে একটি ম্যাচও খেলেন। স্পেনে ফেরার পর ২০ জানুয়ারি তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারের পর পুলিশি জেরায় একেক সময় একেক রকম কথা বলার অভিযোগ উঠেছিল ব্রাজিলিয়ান তারকার বিরুদ্ধে। পরে স্প্যানিশ টিভি চ্যানেল আনতেনা-৩–এর সাংবাদিক সংশ্লিষ্ট সূত্রের মাধ্যমে জেনেছেন বার্সেলোনার সাবেক তারকা ২৩ বছর বয়সী সেই নারীর সঙ্গে জোর করে যৌন সম্পর্কে জড়ানোর বিষয়টি স্বীকার করেছেন।