বড় ম্যাচের নেপথ্য নায়ক ডি মারিয়া
২০০৫ সাল থেকে মেসিকে বল পৌঁছে দেওয়ার কাজটা করে আসছেন ডি মারিয়া। কাতার বিশ্বকাপে এই যাত্রা পেল পূর্ণতা। সব জয়েরই একজন নেপথ্য নায়ক থাকে। আর্জেন্টিনার তেমনই এক নায়ক আনহেল ডি মারিয়া। ফাইনাল ম্যাচেও যিনি দলের জয়ে রেখেছেন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। ২০১৪ বিশ্বকাপের ফাইনাল না খেলতে পারার কষ্টই যেন কাতার বিশ্বকাপের ফাইনালে এসে মেটালেন।
প্রথম গোল আসে তার বদৌলতে। ২৩ মিনিটে পেনাল্টি থেকে দলকে এগিয়ে দেন মেসি। এরপর ৩৬ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন ডি মারিয়া। দ্বিতীয় গোলটা নিজে করে চোখের পানি যেনো আটকাতে পারছিলেন না। রাখবেনই বা কেন। এটি যে তারই সেরা মুহূর্ত ছিল।
কাতার বিশ্বকাপের ফাইনালে গোল করা মারিয়াই ২০২১ কোপা আমেরিকার ফাইনালে করেছিলেন আর্জেন্টিনার একমাত্র গোলটি। স্বাগতিক ব্রাজিলের বিপক্ষে করা সেই গোলের মাধ্যমে আর্জেন্টিনার ২৮ বছরের আন্তর্জাতিক শিরোপা না জেতার ক্ষরা ঘোচান।
২০০৮ অলিম্পিকের ফুটবলে আর্জেন্টিনার স্বর্ণ জয়ের পেছনেও বড় অবদান ছিল মারিয়ার। ফাইনালে গোল করেছিলেন তিনি। লিওনেল মেসি সেখানেও ছিলেন তার সঙ্গী। ২০০৫ যুব বিশ্বকাপের শিরোপাও জেতেন মেসিকে সাথে নিয়েই। বল পেয়ে ঠাণ্ডা মাথায় ফিনিশিং দেন ডি মারিয়া।
আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তো বটেই, ক্লাব ফুটবলে অসংখ্য বড় ম্যাচে দলের সেরা পারফর্মার ছিলেন দি মারিয়া। ২০১৪ সালের চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনালে হয়েছিলেন ম্যান অব দ্যা ম্যাচও। রিয়াল মাদ্রিদের ১২ বছরের অপেক্ষা ঘোচানো দশম চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিততে অগ্রণী ভূমিকা ছিল মারিয়ার।
আরও পড়ুন: যোগ্য হিসেবেই বিশ্বকাপ জিতেছে মেসি: পেলে
আর্জেন্টিনার অনেক তারকাকেই নিয়েই মাতামাতি হচ্ছে। তবে ডি মারিয়া যেন সবার চেয়ে আলাদা। তিনি এক অদম্য যোদ্ধা, তিনি স্বপ্নদ্রষ্টা। তিনিই আর্জেন্টিনার ইতিহাসের অন্যতম এক নায়ক। মেসি, মার্টিনেজদের সামনে হয়তো লাইমলাইট পাবেন না তিনি। কিন্তু মারিয়া এক নেপথ্য নায়ক।