আর্জেন্টিনার দুই বড় শিরোপা জয়ের নায়ক পাগলাটে মার্টিনেজ
মেসিরা যেখানে শেষ করেছেন, মার্টিনেজের সেখানেই শুরু। আসরের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সাতটি গোল এসেছে কিংবদন্তি মেসির পা থেকে। দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করেছেন লিও। তবু শুধু মেসির অসাধারণ পারফরম্যান্সে বিশ্বকাপ জেতেনি আলবিসেলেস্তেরা। জিতেছে একজন এমি মার্টিনেজের অতিমানবীয় পারফরম্যান্সে। টাইব্রেকারে বিশ্বকাপ জিতে ‘গ্রেট অব অল টাইম বা গোট’ বিতর্ক থামিয়ে দিয়েছেন তিনি। ফরাসিদের ঠেকিয়ে আর্জেন্টিনাকে ৩৬ বছর পর বিশ্বকাপ শিরোপা এনে দিলেন মার্টিনেজ।
ফুটবল বিশ্বকাপের ২২ তম আসরের শিরোপা জিতেছে লিওনেল মেসির দল আর্জেন্টিনা। ফ্রান্সের বিপক্ষে শিরোপা নির্ধারণী ফাইনাল ম্যাচে নির্ধারিত সময়ের পর অতিরিক্ত সময়েও খেলা ৩-৩ গোলে সমতায় শেষ হয়। যেখানে ফ্রান্সকে টাইব্রেকারের পেনাল্টি শুটআউটে ৪-২ ব্যবধানে পরাজিত করে ৩৬ বছরের শিরোপা খরা কাটিয়েছে লে আলবিসেলেস্তেরা।
পুরো টুর্নামেন্টে গোল পোস্টের নিচে অসাধারণ নৈপুণ্যে দেখিয়েছেন তিনি। যার কারণে তিনি জিতলেন এবারের বিশ্বকাপে গোল্ডেন গ্লাভসের পুরষ্কার। টাইব্রেকারে তিনি ফ্রান্সের চার শটের দুটি দুর্দান্ত দক্ষতায় ফিরিয়ে বুঝিয়ে দিলেন কেন তিনি বাজপাখি।
এবারের বিশ্বকাপে ৭ ম্যাচের মধ্যে ৩ ম্যাচে আর্জেন্টিনার গোলবার অক্ষত রাখতে পেরেছেন। তবে প্রথম ম্যাচে হারের পর মেসিদের বিশ্বকাপ স্বপ্ন বাঁচিয়ে রাখতে বেশ কিছু অসাধারণ সেভ করে দলকে নিয়ে এসেছিলেন বিশ্বকাপের ফাইনালে।
মার্টিনেজ খেলা শেষে বললেন ‘ম্যাচটায় আমরা অনেক সংগ্রাম করেছি। অনেক ভুগেছি। দুটি ভুলে ফ্রান্স খেলায় সমতা ফিরিয়ে আনল। ঈশ্বরকে ধন্যবাদ। এরপর আমি আমার কাজটা ঠিকঠাক করতে পেরেছি। আমি সেটিই করতে পেরেছি, যে স্বপ্ন আমি দেখেছি।’
আরও পড়ুন: মেসির বিশ্বকাপ জয়ে বন্ধু নেইমার যা বললেন
রোমাঞ্চিত মার্তিনেজ আরও বললেন ‘এর চেয়ে দুর্দান্তভাবে আমি আমার বিশ্বকাপের স্বপ্ন পূরণ করতে পারতাম না। পেনাল্টির সময় আমি খুব শান্ত থেকে, মাথা ঠান্ডা রেখেই নিজের কাজটা করেছি।
এমি মার্টিনেজ ব্রাজিলের মাটিতে ব্রাজিলকে হারিয়ে কোপা আমেরিকা জয়ে রেখেছিলেন বড় ভূমিকা। ওই আসরে টাইব্রেকারে দলকে জয় এনে দিয়েছিলেন তিনি। এরপর চলতি বছর ইতালির বিপক্ষে ফিনালিসিমা জিতেছেন এমি-মেসির আর্জেন্টিনা। এবার আকাশি-সাদাদের জেতালেন বিশ্বকাপ।