১৬ ডিসেম্বর ২০২২, ২০:০০

গলায় কাচ, স্ত্রীকে নিয়ে হাসপাতালে আর্জেন্টাইন স্ট্রাইকার

গলায় কাচ, স্ত্রীকে নিয়ে হাসপাতালে আর্জেন্টাইন স্ট্রাইকার
  © ফাইল ছবি

ফুটবল বিশ্বকাপের ফাইনালের আগে দিন কয়েকের বিশ্রাম। আর্জেন্টিনার স্ট্রাইকার লাউতারো মার্টিনেজ়ের স্ত্রী অগাস্টিনা গান্ডোলফো দোহায় নৈশ পার্টিতে গিয়েছিলেন বোনকে নিয়ে। সব কিছু ভালই চলছিল। খাদ্য-পানীয় সহযোগে পার্টি ভালই উপভোগ করছিলেন অগাস্টিনা। হঠাৎ বুঝতে পারেন পানীয়ের সঙ্গে শক্ত মতো কিছু একটা গলায় চলে গেল। তার পর স্ত্রীকে নিয়ে সোজা হাসপাতালে ছুটতে হল লাউতারোকে।

সন্দেহ হওয়ায় পানীয়ের বোতলে কিছু আছে কিনা দেখেন। পানীয়ের বোতলের ভিতরে চোখ রেখেই আঁতকে ওঠেন আর্জেন্টিনার খ্যাতনামী মডেল। দেখেন বোতলের ভিতরে রয়েছে একাধিক কাচের টুকরো। অগাস্টিনা বুঝতে পারেন তাঁর গলাতেও চলে গিয়েছে কাচের টুকরো। বড় বিপদ আশঙ্কায় বোনকে নিয়ে পার্টি থেকে বেরিয়ে যান লাউতারোর স্ত্রী। তাঁদের সঙ্গে ছিলেন অগাস্টিনার বোনের প্রেমিকও।

নাইট ক্লাব থেকে দ্রুত হাসপাতালে পৌঁছান তাঁরা। হাসপাতালে যাওয়ার আগে নিরাপত্তা কর্মীদের জানানো হয় বিষয়টি। যোগাযোগ করা হয় দোহায় আর্জেন্টিনার দূতাবাসের সঙ্গেও। খবর পৌঁছায় আর্জেন্টিনা শিবিরেও। উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন লিয়োনেল মেসিসহ সকলেই।

বড় বিপদ এড়ানো গেলেও সংশ্লিষ্ট নৈশ ক্লাব কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ে করেছেন লাউতারোর স্ত্রী। পানীয়ের বোতলের মধ্যে কী ভাবে ভাঙা কাচের টুকরো এল, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। তাঁর প্রশ্ন, পরিবেশন করার আগে কেন পা‌নীয়ের বোতল ভাল ভাবে পরীক্ষা করা হয়নি?

স্ত্রীকে নিয়ে লাউতারো উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ায় মেসিদের প্রস্তুতিতে কোনও সমস্যা হয়নি। প্রাথমিকভাবে সকলেই চিন্তিত হয়ে পড়েন। প্রতিযোগিতার গুরুত্বপূর্ণ সময়ে অপ্রত্যাশিত এমন ঘটনায় সকলেই সতীর্থের পাশে দাঁড়ান। বিশ্বকাপে লাউতারোকে অবশ্য চেনা ছন্দে দেখা যাচ্ছে না। এখনও একটিও গোল করতে পারেননি তিনি। আর্জেন্টিনার হয়ে ৪৫টি ম্যাচে ২১টি গোল রয়েছে তাঁর।

বিশ্বকাপে নিজের দেশকে সমর্থন করার জন্য এক মাস ধরে কাতারে রয়েছেন ইন্টার মিলানের স্ট্রাইকারের স্ত্রী। ২০২১ সালেও এক বার শিরোনামে উঠে এসেছিলেন তিনি। সে বার ইটালির একটি নামী রেস্তোরাঁর সঙ্গে ঝামেলায় জড়িয়ে পড়েন আর্জেন্টিনার মডেল।

তাঁর অভিযোগ ছিল, ইটালির রেস্তোরাঁগুলোতে মহিলাদের যে খাদ্য তালিকা দেওয়া হয় তাতে দামের উল্লেখ থাকে না। প্রশ্ন তুললে বলা হয়, এর মধ্যে অস্বাভাবিক কিছু নেই। নির্দিষ্ট মানের রেস্তোরাঁগুলিতে দামের উল্লেখ নাকি বাধ্যতামূলক নয়। উল্লেখ্য, সমাজমাধ্যমে ১০ লাখের বেশি ফলোয়ার রয়েছে লস্যময়ী এই মডেলের।

সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা