১৫ ডিসেম্বর ২০২২, ১০:৪১

হারের পরও স্রষ্টাকে ভোলেননি হাকিমি-বাউফালরা

মরক্কোর ফুটবলাররা  © সংগৃহীত

কাতার বিশ্বকাপ থেকে আফ্রিকার দেশ মরক্কোর স্বপ্নযাত্রার সমাপ্তি হলো। ফুটবল বিশ্বকে অবাক করেছে মরক্কো। আধুনিক ফুটবলের যুগে প্রথম আফ্রিকার দল হিসেবে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে খেলেছে তারা। যে সময়ে ছোট-বড় দলের পার্থক্য প্রকট। বিশ্বকাপের দ্বিতীয় সেমিফাইনালে ফ্রান্সের কাছে ২-০ গোলে হেরে বিদায় নেয় জিয়েচ-হাকিমির দল। হারের পরও সেজদা করেছেন দেশটির ফুটবলাররা। সৃষ্টিকর্তা যেটুকু সাফল্য দিয়েছেন তার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।

গ্রুপ পর্বে তারা কানাডার বিপক্ষে জয় তুলে দিয়ে সেজদা করেছে। সৃষ্টিকর্তাকে স্মরণ করেছে ইসলাম ধর্মের অনুসারী দেশটি। বেলজিয়ামের বিপক্ষে জয় তুলে নিয়ে সেজদা করেছেন। শেষ ষোলোয় তারা স্পেনকে হারিয়ে, কোয়ার্টার ফাইনালে হারিয়েছে পর্তুগালকে। ওই দুই ম্যাচেও তাদের সেজদা এবং মায়ের সঙ্গে হাকিমি, বাউফালের উদযাপন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সাড়া ফেলে। 

ম্যাচের পাঁচ মিনিটে থিও হার্নান্দেজ এবং ম্যাচের ৭৯ মিনিটে কলো মুয়ানির গোলে জয় পায় ফ্রান্স। তবে ফ্রান্স জয় পেলেও পুরো ম্যাচ খেলেছে মরক্কো। তাদের একের পর এক আক্রমণে কোণঠাসা হয়ে গিয়েছিল বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। কিন্তু দারুণ ডিফেন্সে সেই আক্রমণ ঠেকায় ফ্রান্স।

বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিলেও সবার মন জয় করেছে আফ্রিকার দেশটি। মরক্কো প্রমাণ করে দিয়েছে যদি অদম্য মানসিকতা থাকে, যদি হার না মানার চেতনা থাকে তাহলে যেকোনো অসম্ভবকেই সম্ভব করা যায়। বেলজিয়াম, স্পেন ও পর্তুগালের মতো ইউরোপিয়ান পরাশক্তিদের বিপক্ষে চোখে চোখ রাঙিয়ে লড়াই করে তাদের হার উপহার দিয়ে বিশ্বকাপ থেকে বিদায় করে দিয়েছে আফ্রিকান লায়ন্সরা।

আরও পড়ুন: মরক্কোর স্বপ্নযাত্রা থামিয়ে ফাইনালে ফ্রান্স

ম্যাচ শেষেও মরক্কোর ফুটবলারদের সমীহ করতে দেখা গেছে ফ্রান্সের ফুটবলার ও কোচদের। জিরুদ ও দেশম মরক্কোর কোচ ওয়ালিদ রেগরাগুইকে ম্যাচ শেষে জড়িয়ে ধরে সাধুবাদ জানিয়েছেন। এবার হয়তো অভিজ্ঞতার কাছে হেরে বিদায় নিয়েছে মরক্কো, তবে আগামীবার হয়তো অবশ্যই ফাইনাল খেলার সামর্থ্য রাখবে আফ্রিকার এ দেশটি।

বিশ্বকাপে তাদের এই অর্জনকে ‘বড় অঘটন’ হিসেবে দেখছেন অনেকে। একটা একটা করে ওই অঘটন ঘটিয়ে উদযাপন করেছেন মরক্কোর ফুটবলাররা। মাঠে সেজদা দিয়ে সৃষ্টিকর্তার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।