১৪ ডিসেম্বর ২০২২, ০৮:১৪

দাপুটে জয়ে শিরোপা থেকে এক ম্যাচ দূরে মেসির আর্জেন্টিনা

গোলের পর মেসি ও আলভারেজের উদযাপন  © ইন্টারনেট

বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে দাপুটে জয়ে শিরোপা জয়ের আরও কাছে লিওনেল মেসির আর্জেন্টিনা। ক্রোয়েশিয়াকে ৩-০ গোলে হারিয়ে ফাইনালে উঠেছে দলটি। ফাইনালে ফ্রান্স কিংবা মরক্কোকে হারাতে পারলেই সময়ের সেরা খেলোয়াড় মেসির হাতে উঠবে কাপ।

এবারের বিশ্বকাপে সেমিফাইনাল থেকে ফিরবেন না, সেটি বুঝিয়েছেন মেসি। এ জন্য নিজে গোল করলেন মেসি, হুলিয়ান আলভারেজকে দিয়ে করালেনও। আলভারেজও একক প্রচেষ্টায় অবিশ্বাস্য আরও একটা গোল করেছেন।

ম্যাচটা ৩-০ গোলে জিতে ২০১৪ সালের পর আবার উঠে গেছে বিশ্বকাপের ফাইনালে। গতবারের ফাইনালিস্ট ক্রোয়েশিয়ার পথচলা থেমে গেছে সেমিফাইনালে। যদিও প্রথম আধাঘণ্টা ক্রোয়েশিয়া দারুন খেলেছে। এর মধ্যে ২৪ মিনিটে এনজো ফার্নান্দেজ শট নিয়েছিলেন বক্সের বাইরে থেকে। কিন্তু ঠেকাতে কষ্ট হয়নি ক্রোয়েশিয়ার গোলরক্ষক দমিনিক লিভাকোভিচের।

৩১ মিনিটে ইভান পেরিসিচের শট দি পলের গায়ে লেগে চলে যায় মাঠের বাইরে। এরপরই এনজো ফার্নান্দেজ লম্বা পাস বাড়িয়েছিলেন আলভারেজকে। ক্রোয়াট রক্ষণ তাকে ঠেকাতে গিয়ে শরীর দিয়ে বাধা দেন গোলরক্ষক লিভাকোভিচ। পেনাল্টির সিদ্ধান্ত দেন রেফারি।

আরো পড়ুন: সৌদির কাছে হার থেকে সেমিফাইনাল, কোন মন্ত্রে ঘুরে দাঁড়াল মেসিরা

কিক নিয়ে আর্জেন্টিনাকে এগিয়ে দেন মেসি। এবার মেসির পঞ্চম গোল এটি। বাতিস্তুতাকে ছাড়িয়ে এখন বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনার সর্বোচ্চ গোলদাতা মেসিই। ম্যাচের সেরা মুহূর্ত আসে আরও পরে। আলভারেজ মিনিট পাঁচেক পর মাঝমাঠে ফাউলে পড়েন। তবে আলভারেজের পায়ে দেখে রেফারি খেলা চালিয়ে গেলেন। এরপর ক্রোয়েশিয়ার তিন খেলোয়াড়কে পেরিয়ে বিভ্রান্ত করে দিলেন ক্রোয়াট রক্ষণভাগকে।

ডি-বক্সে ঢুকে আলভারেজ বোরনা সোসা ও লিভাকোভিচকে কাটিয়ে বল পাঠালেন জালে। ১৯৮৬ বিশ্বকাপে ম্যারাডোনার মতো নয়, তবে আলভারেজের গোলটা হয়তো দর্শকদের সে গোলের কথাই মনে করে দিয়েছে।

বিরতির পর মাঠে নেমে খেলা শেষ করে দিলেনমেসি-আলভারেজ। ৬৯ মিনিটের গোলটি নিখাদ মেসি-জাদু। ক্রোয়াট রক্ষণকে এলোমেলো করে দিয়ে গাভারদিওলকে কাটাতে বল নিয়ে গেলেন সীমানার কাছাকাছি। সেখান থেকে আলভারেজকে পাস বাড়ালেন। গোল করলেন তিনি। মেসির এই অ্যাসিস্ট সেরা অ্যাসিস্টের একটি।