বিশ্বকাপে সতীর্থের স্ত্রীর সঙ্গে অবৈধ সম্পর্কের অভিযোগ
সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে গ্রুপের শেষ ম্যাচে নামে সার্বিয়া। ৩-২ গোল ব্যবধানে হেরে গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় নিয়েছে সার্বিয়া। তবে এরই মধ্যে গণমাধ্যমে উঠে এসেছে সার্বিয়ান জাতীয় দলের মধ্যে ফাটলের গুঞ্জন। সতীর্থের স্ত্রীর সঙ্গে অবৈধ সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ার অভিযোগ উঠেছে সার্বিয়ান স্ট্রাইকার দুসান ভ্লাহোভিচের বিরুদ্ধে। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে দলের গোলকিপার প্রেদ্রাগ রাজকোভিচের স্ত্রী আনার সঙ্গে অবৈধ সম্পর্কের। যদিও বিষয়টি প্রত্যাখ্যান করেছেন তিনি।
ইংরেজ সাংবাদিক রিচার্ড উইলসনের বরাতে এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম মার্কা।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জুভেন্টাস স্ট্রাইকার দুসান ভ্লাহোভিচ, তার সতীর্থ প্রেড্রাগ রাজকোভিচের স্ত্রীর সঙ্গে দলের প্রশিক্ষণ শিবিরের সময় অবৈধ সম্পর্ক (পরকীয়া) করেছিলেন। এমনকি দুজন একসঙ্গে যাত্রিযাপন করেছেন।
তবে ভ্লাওভিচ গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচের সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগটি অস্বীকার করেছেন। ভ্লাহোভিচের দাবি, তার নাম নিয়ে ব্যান্ডেড করা হচ্ছে।
সুইজারল্যান্ড ম্যাচের আগে সাংবাদিক বৈঠকে এসে আগেই এই প্রসঙ্গে কথা বলেছেন তিনি। দুসান বলেছেন, আমি দুঃখিত যে, এভাবে সংবাদ সম্মেলন শুরু করতে হচ্ছে। কিন্তু এ ব্যাপারে কথা বলতেই হবে। কারণ আমার নামে নোংরা কথা রটানো হচ্ছে।
আরও পড়ুন: শেষ ষোলোতে কে কার মুখোমুখি
জুভেন্টাস স্ট্রাইকার বলেন, সাধারণত এ ধরনের যা শুনি বা দেখি, তাতে খুব একটা পাত্তা দিই না। আসলে যারা এসব লেখে, তাদের কাছে আর কোনো কাজ নেই। তারা হয় হতাশ, না হয় খুব রেগে গেছে। তবু দলের স্বার্থে আমাকে মুখ খুলতেই হচ্ছে। একটা কথাই বলতে পারি, অত্যন্ত জঘন্য কথা লেখা হচ্ছে। আমি এর থেকে নিজের নাম সরাতে চাই।
ভ্লাওভিচ বলেন, প্রয়োজনে আমি আইনগতভাবে আমার নাম রক্ষা করতে প্রস্তুত। যা বলা হচ্ছে, তা মিথ্যা।
সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে জিতলে বা ড্র করলে পরের পর্বে যাওয়ার সুযোগ ছিল সার্বিয়ার। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা হয়নি। সুইসদের কাছে ২-৩ ব্যবধানে হেরে যায় সার্বিয়া।