মেসিদের গ্রুপে শুধু জয়ের খেলা, হারলেই ভাঙবে বিশ্বকাপের স্বপ্ন
ফ্রান্স, ব্রাজিল, পর্তুগালের জন্য গ্রুপের তৃতীয় ম্যাচটা শুধুই নিয়ম রক্ষার ম্যাচ। সেখানে আর্জেন্টিনার জন্য প্রতিটি ম্যাচই ‘ফাইনাল’। গ্রুপ পর্বে দুই ম্যাচ খেলেও আর্জেন্টিনা এখনও স্বস্তির নিঃশ্বাস নিতে পারছে না। নক আউট পর্বে ওঠা নিয়ে অনিশ্চয়তার মধ্যে আছে দুইবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। আজ মেসিদের গ্রুপে শুধু জয়ের খেলা, হারলেই ভাঙবে বিশ্বকাপের স্বপ্ন।
বুধবার (৩০ নভেম্বর) বাংলাদেশ সময় রাত ১টায় অনুষ্ঠিত হবে ‘সি’ গ্রুপের দুটি ম্যাচ। ৯৭৪ স্টেডিয়ামে আর্জেন্টিনা মোকাবেলা করবে পোল্যান্ডকে।
চার দলের সামনেই রয়েছে নক আউট পর্বে যাওয়ার সুযোগ। দুই ম্যাচে ৪ পয়েন্ট নিয়ে ‘সি’ গ্রুপের শীর্ষে রয়েছে পোলিশরা। ৩ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে অবস্থান করছে আর্জেন্টিনা। সমান পয়েন্ট থাকলেও গোল ব্যবধানে পিছিয়ে তিনে আছে সৌদি আরব। তলানিতে থাকা মেক্সিকোর পয়েন্ট ১।
সৌদি আরবের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচেই অঘটনের শিকার হয় লিওনেল স্কালোনির শিষ্যরা। মেসির গোলে এগিয়ে গিয়েও তারা হেরে যায় ২-১ গোলে। থামে তাদের টানা ৩৬ ম্যাচে অপরাজিত থাকার যাত্রা। ফলে দেয়ালে পিঠ ঠেকে যায় তাদের।
মেক্সিকোর বিপক্ষে পরের ম্যাচটি পরিণত হয় আলবিসেলেস্তেদের জন্য বাঁচা-মরার লড়াইয়ে। শনিবার রাতে ওই ম্যাচে মেসির জাদুতে ২-০ গোলের স্বস্তির জয় পায় আর্জেন্টিনা।
পোল্যান্ডের বিপক্ষে জিতলেই শেষ ষোলোতে জায়গা করে নেবে আর্জেন্টিনা। আর কোনো হিসেবের মধ্য দিয়ে যেতে হবে না তাদের। ম্যাচটি ড্র হলেও পরের পর্বে তারা জায়গা পাবে যদি মেক্সিকো-সৌদি আরব ম্যাচও সমতায় শেষ হয়।
আরও পড়ুন: শেষ ১৬’তে টিকতে ৪৪ বছর পর মুখোমুখি আর্জেন্টিনা-পোল্যান্ড
এছাড়া, মেক্সিকো সৌদি আরবকে হারালে এবং আর্জেন্টিনা-পোল্যান্ড ম্যাচ ড্র হলে গোল পার্থক্য আসবে বিবেচনায়। যাদের গোল ব্যবধান বেশি হবে, তারা পাবে দ্বিতীয় রাউন্ডের টিকিট। পোলিশদের বিপক্ষে হারলে বিশ্বকাপ থেকে নিশ্চিতভাবেই ছিটকে যাবেন মেসিরা।
সবশেষ ২০০২ সালে যৌথভাবে আয়োজিত জাপান-দক্ষিণ কোরিয়া আসরে গ্রুপ পর্ব থেকে বাদ পড়েছিল আর্জেন্টিনা। সেবার সুইডেন ও ইংল্যান্ডের পেছনে থেকে পয়েন্ট তালিকায় তৃতীয় হয়েছিল তারা। নাইজেরিয়ার বিপক্ষে জিতে বিশ্বকাপ শুরু করলেও ইংল্যান্ডের কাছে হেরে গিয়েছিল দলটি। সুইডেনের বিপক্ষে শেষ ম্যাচে জয় দরকার থাকলেও কেবল ড্র করতে পেরেছিল তারা।
আর্জেন্টিনা দুবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন। টানা ৩৬ ম্যাচ অপরাজিত থেকে, দুটি আন্তর্জাতিক ট্রফি জিতে এই বিশ্বকাপে এসেছে অন্যতম ফেবারিট হিসেবে। বিশ্বকাপে পোল্যান্ডের সেরা সাফল্য বলতে যেখানে ১৯৭৪ ও ১৯৮২ বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল খেলা। রবার্ট লেভানডফস্কির এই পোল্যান্ড দল অবশ্য পোলিশ ফুটবলের সেই স্বর্ণযুগকে একটু হলেও মনে করিয়ে দিচ্ছে। যদিও বিশ্বকাপ আর ইউরো মিলিয়ে প্রথমবারের মতো টানা চারটি বড় টুর্নামেন্টে কোয়ালিফাই করার পরও কেন যেন ‘সোনালি প্রজন্ম’ হিসেবে তেমন হাঁকডাক নেই।