দুর্দান্ত গোলে ম্যারাডোনার পাশে মেসি
সৌদি আরবের বিপক্ষে হার দিয়ে শুরু করার পর দলের অবস্থা জানাতে গিয়ে লিওনেল মেসি বলেছিলেন, ‘আমরা এখন মৃত প্রায়।’ ধাক্কাটা কেমন ছিল, তা বলাই বাহুল্য। এক ম্যাচেই শেষ ষোলোর পথ কঠিন হয়ে ওঠে আলবিসেলেস্তেদের। মেক্সিকোর বিপক্ষে দ্বিতীয় ম্যাচটি ছিল আর্জেন্টিনার বাঁচা-মরার লড়াই। চাপের পাহাড় মাথায় নিয়ে মাঠে নামতে হয়েছিল আর্জেন্টিনাকে।
শনিবার রাতে লুসাইল স্টেডিয়ামে বাঁচা-মরার লড়াইয়ে মেসি ও ম্যারাডোনা যেন এক বিন্দুতে পৌঁছে গেলেন। কেননা আজ মেসি নিজের ২১তম বিশ্বকাপ খেলতে নেমেছেন। যা আর্জেন্টিনার হয়ে এতদিন রেকর্ড ২১টি ম্যাচ খেলে শীর্ষে ছিলেন ম্যারাডোনা। আজ দুজনেই সমান।
তবে গোল করাতে মেসির চেয়ে বেশি সহায়তা করেছেন ম্যারাডোনা। ২১ ম্যাচে ম্যারাডোনা করিয়েছিলেন ৭ গোল, মেসি করিয়েছেন ৫টি।
প্রায় একক দক্ষতায় ১৯৮৬ বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনাকে চ্যাম্পিয়ন করা এবং পরের বিশ্বকাপে ফাইনালে তোলা ম্যারাডোনা বিশ্বকাপে ২১ ম্যাচে ৮ গোল করেন। যোগ্য উত্তরসূরী মেসিও ২১তম ম্যাচেই বিশ্বকাপের অষ্টম গোল করলেন। একই দিনে ম্যারাডোনার দুটি কীর্তিতে ভাগ বসালেন রেকর্ড সাতবারের ব্যালন ডি'অর জয়ী। এই দুজনের চেয়ে বেশি গোল আছে কেবল বাতিস্তুতার, তার গোল ১০টি।
একটা সময় পর্যন্ত মেসির ঘাড়ে অপবাদ ছিল তিনি যতোটা বার্সেলোনা, ততোটা আর্জেন্টিনার নন। সেই অবদান ঘুচিয়ে আর্জেন্টাইন অধিনায়ক হয়ে উঠেছেন দলের প্রাণ। এ নিয়ে আর্জেন্টিনার সর্বশেষ ছয় ম্যাচেই গোল করলেন মেসি। এর আগে ২০১১ সালের নভেম্বর থেকে ২০১২ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত টানা ছয় ম্যাচে গোল করেন তিনি।
আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপের গোলেও অবদান রাখায় মেসি অনবদ্য। দেশটির পাওয়া সর্বশেষ ১৫ গোলের মধ্যে ১০টিতেই মেসির অবদান আছে। এর মধ্যে নিজে করেছেন ৭ গোল, বাকি ৩টি করিয়েছেন সতীর্থদের দিয়ে। মেক্সিকোর বিপক্ষে চোখ জুড়ানো গোল করা মেসি ছিলেন দ্বিতীয় গোলের যোগানে। তার পাস থেকে বল পেয়ে ডি-বক্সে থেকে ডান পায়ের শটে বল জালে জড়ান এনসো ফার্নান্দেস।