কোস্টারিকার জালে গুনে গুনে ৭ গোল স্পেনের

কোস্টারিকার জালে গুনে গুনে ৭ গোল স্পেনের
কোস্টারিকার জালে গুনে গুনে ৭ গোল স্পেনের  © সংগৃহীত

কাতার বিশ্বকাপের চতুর্থ দিনে গ্রুপ ‘ই’ তে কোস্টারিকার মুখোমুখি হয়েছে স্পেন। ২০১০ সালে চ্যাম্পিয়ন হওয়া স্পেন প্রথম ম্যাচে জয়ের দিকে তাকিয়ে ছিল। এই গ্রুপে রয়েছে জার্মানি ও জাপানও। জার্মানিকে হারিয়ে বড় আপসেট করেছে জাপান। স্প্যানিশ দল কোনও অবস্থাতেই এটা হতে দেয়নি। কোস্টারিকাকে গোলের মালা পরাল স্পেন। কোস্টারিকার জালে গুনে গুনে ৭ গোল দিয়েছে লুইস এনরিকের শিষ্যরা।

প্রথমার্ধেই কোস্টারিকার নাজেহাল অবস্থা বানায় স্পেন। নির্ধারিত ৪৫ মিনিটের খেলা শেষে ৩-০ গোলে এগিয়ে যায় লুইস এনরিকের শিষ্যরা। আল থুমামা স্টেডিয়ামে বুধবার (২৩ নভেম্বর) কোস্টারিকার বিপক্ষে শুরু থেকে আক্রমণের পসরা সাজিয়ে বসেছিল স্পেন। ১১ মিনিটের মাথায় তার ফলও পায় ২০১০ সালের চ্যাম্পিয়নরা। স্পেনকে এ সময় লিড এনে দেন দানি ওলমো। আত্মঘাতী গোলের হিসাব বাদ দিলে ২০০২ সালের পর বিশ্বকাপে স্পেনের এটি সবচেয়ে দ্রুততম গোল।

ঠিক ১০ মিনিট পরে আবার গোল হজম করে কেইলর নাভাসের দল। বাম প্রান্ত থেকে এ সময় ডি বক্স বরাবর বল বাড়িয়ে দেন বার্সেলোনা ডিফেন্ডার জর্দি আলবা। তার বল অনেকটা ফাঁকায় পান রিয়াল মাদ্রিদ ফরোয়ার্ড মার্কো অ্যাসেন্সিও। সেখান থেকে নিঁখুত শটে গোল করেন ২৬ বছর বয়সী ফুটবলার।

আরও পড়ুন: সৌদি গোলকিপারকে ফ্ল্যাট দিতে চান বাংলাদেশি মেয়র

কিছুক্ষণ পর আলবাকে ডি বক্সের ভেতর ফেলে দেন কোস্টারিকার দুয়ার্তে। রেফারি কোনো ইতস্তত ছাড়াই পেনাল্টির সিদ্ধান্ত দেন। সেখান থেকে সফল কিক নেন ফেরান তোরেস। ব্যবধান বেড়ে দাঁড়ায় ৩-০। কোস্টারিকার বলে নিয়ন্ত্রণও ছিল খুব কম সময়।

বিশ্বকাপ ইতিহাসে এটাই স্পেনের সবচেয়ে বড় ব্যবধানে জয়। এর আগে ১৯৫০ সালের আসরে ব্রাজিল ও ১৯৯৮ সালের আসরে বুলগেরিয়ার বিপক্ষে ৬-১ ব্যবধানে জিতেছিল তারা।

এদিনের ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধেও আধিপত্য ধরে রাখে স্পেন। বিরতি থেকে ফেরার কিছুক্ষণ পর নিজের জোড়া গোল পূর্ণ করেন তোরেস। স্পেনের হয়ে এটা তোরেসের ১৫তম গোল। ৭৪ মিনিটে জাল কাঁপান বার্সেলোনার তরুণ মিডফিল্ডার গাভি। তার গোলে অ্যাসিস্ট করেন আলভারো মোরাতা। নির্ধারিত ৯০ মিনিটের সময় গোল পান বদলি নামা কার্লোস সোলার। আর দলের শেষ গোলটি আসে আলবারো মোরাতার পা থেকে।


সর্বশেষ সংবাদ