দ্বিগুণ চাপে আর্জেন্টিনা
কাতার বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে হট ফেবারিট হিসাবেই মাঠে নেমেছিল দুই বারের বিশ্ব চ্যাম্পিউয়ন আর্জেন্টিনা। গতকালের ম্যাচের আগে টানা ৩৬ ম্যাচ অপরাজিত ছিল আকাশী নীলরা।
আর্জেন্টিনা সৌদি আরবকে কয় গোল দেবে, এর মধ্যে মেসিরই বা কয়টি থাকবে—সৌদি আরবের বিপক্ষে আর্জেন্টিনার ম্যাচের আগে তুঙ্গে ছিল এই আলোচনা। কিন্তু বাস্তবে ঘটল অঘটন। দুর্দান্ত খেলে উড়ন্ত আর্জেন্টিনাকে ২-১ গোলে ভূপোতিত করল মরুর দেশের ছেলেরা।
গ্রুপের তুলনামূলক সহজ প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে হেরে বেশ খানিকটা চাপে পড়েছে আর্জেন্টিনা। কিন্তু কয়েক ঘন্টা যেতে না যেতেই এই চাপের মাত্রা আরও বেড়ে গেল পোল্যান্ড-মেক্সিকোর ম্যাচটা গোলশূন্য ড্র হওয়ার কারণে।
আরও পড়ুন: মেসি বিশ্বকাপ জিতলেও আমাদের কিছু যায় আসে না: মাশরাফী
আর্জেন্টিনার ‘সি’ গ্রুপের শীর্ষে আছে ৩ পয়েন্ট নিয়ে সৌদি আরব। ১ পয়েন্ট নিয়ে পোলান্ড দুইয়ে, সমান ১ পয়েন্ট নিয়ে মেক্সিকো তিনে। আর সবার তলানিতে মেসিরা। বাকি দুই ম্যাচের একটিতে জিতলেই পরের পর্বে যাওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যাবে মেক্সিকো-পোল্যান্ডের। অন্যদিকে, এই গ্রুপে আর কোনো ম্যাচে ড্র হলেই চাপ আরও দ্বিগুণ হবে মেসিদের। তখন তাঁদের তাকিয়ে থাকতে হবে প্রতিপক্ষের দিকে। আর্জেন্টিনা নিজেদের প্রথম ম্যাচে হেরে যাওয়ায় বাকি তিন দলের সুযোগ হয়েছে ড্র করেও এগিয়ে যাওয়ার।
এখন মেসিদের সামনে পরের পর্বে যাওয়ার হিসাবটা বেশ কঠিন। পোল্যান্ড-মেক্সিকো দুই দলই চাইবে আর্জেন্টিনার বিপক্ষে কোনোভাবে হার এড়াতে। আর তারা চাইবে সৌদি আরবের সঙ্গে ম্যাচ জিততে। অবশ্য এখন সৌদিরও দারুণ সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে দ্বিতীয় রাউন্ডে যাওয়ার।
আর্জেন্টিনার এই দুঃসময়ে সমর্থকেরা অনুপ্রাণিত হতে পারেন ইতিহাস থেকে। ১৯৯০ সালেও একই পরিস্থিতিতে পড়েছিল আর্জেন্টিনা। প্রথম ম্যাচে ক্যামেরুনের বিপক্ষে ১-০ গোলে হেরে বাদ পড়ার শঙ্কায় ছিল। তবে সব শঙ্কা উড়িয়ে সেবার ফাইনালে খেলেছিল আলবিসেলেস্তারা।