নিউজিল্যান্ডকে বড় ব্যবধানে হারিয়ে ফাইনালে পাকিস্তান
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে প্রথম সেমিফাইনাল ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে বড়ো জয় পেল পাকিস্তান। ১৫৩ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে এদিন বাজিমাত করেন পাকিস্তানি ওপেনার বাবর আজম। তার ৩৮ বলের ৫১ রানের ধৈর্যশীল ইনিংসে জয়ের বন্দরে পৌছায় তার দল। বাবার আউট হন ৪২বলে ৫৩ করে। ইনিংসে বাবারকে দারুণ সঙ্গ দেন আরেক ব্যাটার মোহাম্মদ রিজওয়ান। তিনি ৪৩ বলে ৫৭ রান করেন। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৭ উইকেটের সহজ জয়ের ফলে ফাইনালের টিকিট পেল বাবর বাহিনী।
এদিন, ব্যাট করতে নেমে সাবলীলভাবেই শুরু করে পাকিস্তান। মূলত, তাদের দুই ওপেনারের দৃঢ়তাই তাদের জয়ের কাছে পৌছায়। বাবর ও রিজওয়ান ফেরার পর মোহাম্মদ হারিস ২৬ বলে ৩০ রানে সাজঘরে ফিরেন স্যান্টনারের বলে ফিন অ্যালেনের ক্যাচে। এরপর শান মাসুদ ও ইফতেখারের ব্যাটে জয় পায় বাবররা। আর নিউজিল্যান্ডের হয়ে দুই উইকেট পান ট্রেন্ট বোল্ট। তিনি মোহাম্মদ রিজওয়ান ও বাবর আজমের উইকেট পেয়েছেন পাকিস্তানের সহজ জয়ের দিনে।
এর আগে ব্যাটিংয়ে নেমে পাকিস্তানকে ১৫৩ রানের টার্গেট দিয়েছিল কিউইরা। ৩২ বলে ফিফটি করেন মিচেল। ক্যারিয়ারে এটি তৃতীয় ফিফটি তাঁর, এর মধ্যে দুটিই এলো বিশ্বকাপ সেমিফাইনালে। শুরুতেই তিন উইকেট হারিয়ে বেশ চাপে পড়েছিল তারা। তবে অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন ও ড্যারেল মিচেলের ৬৮ রানের জুটিতে ভর করে ১৫২ রানের চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহ দাঁড় করিয়েছে কিউইরা। ফলে ফাইনালের টিকিট পেতে পাকিস্তানের লক্ষ্য ১৫৩ রান।
বুধবার (৯ নভেম্বর) সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে প্রথম ওভারেই পাক পেসার শাহিন শাহ আফ্রিদির ঝলকে পরাস্ত হন ফিন অ্যালেন। যদিও প্রথম বলে মিড অন দিয়ে চার মেরে ঝড় তোলার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন নিউজিল্যান্ডের ব্যাটারই। তবে এলবিডব্লুর ফাঁদে পড়ে মাত্র ৪ রানেই সাজঘরে ফেরেন এই ব্যাটার।
দ্বিতীয় ওভারে নাসিম শাহর বলে দুটি চার মারেন কনওয়ে, দুটিই মিডউইকেট দিয়ে। নিজের দ্বিতীয় ওভারে বোলিংয়ে এসে আরও দুবার এলবিডব্লুর আবেদন করেছেন আফ্রিদি। তবে আম্পায়ার তার ডাকে সাড়া না দেওয়ায় সফল হননি এই বাঁহাতি বোলার। হারিস রউফ চতুর্থ ওভারে নিউজিল্যান্ডের ব্যাটারদের কোনো বাউন্ডারি হতে দেননি।