০৯ নভেম্বর ২০২২, ১৪:৫০

ফাইনাল মিশন: পাকিস্তানের টার্গেট ১৫৩

পাকিস্তানের টার্গেট ১৫৩  © সংগৃহীত

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে প্রথম সেমিফাইনালের ম্যাচে পাকিস্তানের বিপক্ষে ব্যাট করতে নেমেছিল নিউজিল্যান্ড। ব্যাটিংয়ে নেমে পাকিস্তানকে ১৫৩ রানের টার্গেট দিয়েছে কিউইরা। ৩২ বলে ফিফটি হলো মিচেলের। ক্যারিয়ারে এটি তৃতীয় ফিফটি তাঁর, এর মধ্যে দুটিই এলো বিশ্বকাপ সেমিফাইনালে। শুরুতেই তিন উইকেট হারিয়ে বেশ চাপে পড়েছিল তারা। তবে অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন ও ড্যারেল মিচেলের ৬৮ রানের জুটিতে ভর করে ১৫২ রানের চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহ দাঁড় করিয়েছে কিউইরা। ফলে ফাইনালের টিকিট পেতে পাকিস্তানের লক্ষ্য ১৫৩ রান।

বুধবার (৯ নভেম্বর) সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে প্রথম ওভারেই পাক পেসার শাহিন শাহ আফ্রিদির ঝলকে পরাস্ত হন ফিন অ্যালেন। যদিও প্রথম বলে মিড অন দিয়ে চার মেরে ঝড় তোলার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন নিউজিল্যান্ডের ব্যাটারই। তবে এলবিডব্লুর ফাঁদে পড়ে মাত্র ৪ রানেই সাজঘরে ফেরেন এই ব্যাটার।

দ্বিতীয় ওভারে নাসিম শাহর বলে দুটি চার মারেন কনওয়ে, দুটিই মিডউইকেট দিয়ে। নিজের দ্বিতীয় ওভারে বোলিংয়ে এসে আরও দুবার এলবিডব্লুর আবেদন করেছেন আফ্রিদি। তবে আম্পায়ার তার ডাকে সাড়া না দেওয়ায় সফল হননি এই বাঁহাতি বোলার। হারিস রউফ চতুর্থ ওভারে নিউজিল্যান্ডের ব্যাটারদের কোনো বাউন্ডারি হতে দেননি।

পঞ্চম ওভারে চতুর্থ পেসার হিসেবে মোহাম্মদ ওয়াসিম বোলিংয়ে এসেও বাউন্ডারি দেননি। তবে ষষ্ঠ ওভারের প্রথম বলে কাভারের ওপর দিয়ে চার মেরে রউফের সঙ্গে ম্যাচআপে নিজেকে এগিয়ে নিয়েছিলেন কনওয়ে। তবে শেষ বলে সে সবের বাইরে গিয়ে রানআউট হয়ে ফিরতে হলো তাকে। লেংথ বলে মিডঅফে খেলে সিঙ্গেল নিতে চেয়েছিলেন কনওয়ে। সরাসরি থ্রোয়ে স্টাম্প ভেঙেছেন শাদাব খান। কনওয়ে ডাইভও দেননি, ফিরেছেন ২০ বলে ২১ রান করে। এরপর আরেক স্পিনার মোহাম্মদ নওয়াজের বলে তার হাতেই ক্যাচ দিয়ে ফেরেন গ্লেন ফিলিপসও। ইনিংসে ৮ বলে মাত্র ৬ রান করেন এই ব্যাটার।

দীর্ঘ চোট কাটিয়ে বিশ্বকাপে ফিরেছিলেন আফ্রিদি। তবে শুরুতে ঠিক ছন্দে ছিলেন না আফ্রিদি। টুর্নামেন্টে নিজেদের অন্যতম অস্ত্রকে এরপর ধীরে ধীরে ফিরে পেয়েছে পাকিস্তান। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ৩ উইকেটের পর বাংলাদেশের বিপক্ষে নিয়েছিলেন ৪ উইকেট। আজ ২৪ রান দিয়ে নিলেন ২ উইকেট। শুরুতে অ্যালেনকে ফিরিয়ে প্রথম আঘাত করেছিলেন, এরপর শেষ ওভারে এসে নিয়েছেন উইলিয়ামসনের গুরুত্বপূর্ণ উইকেট।