রুশোর রানও করতে পারেনি বাংলাদেশ
দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে ১০৪ রানে হেরেছে সাকিব-লিটনরা। ২০৬ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ১০১ রানেই গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ। বিশ্বকাপের সুপার টুয়েলভের দশম ম্যাচে বাংলাদেশের বিপক্ষে ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি সেঞ্চুরি তুলে নেয় রাইলি রুশো। অফ সাইডে সিঙ্গেল খেলে ৫২ বলে সেঞ্চুরি করে রাইলি রুশোর সেঞ্চুরি। বাংলাদেশের ১১ ব্যাটার মিলে করতে পেরেছেন সাকুল্যে ১০১ রান। প্রোটিয়া ব্যাটার রাইলি রুশো একাই করেছেন ১০৯ রান। বাংলাদেশের দলীয় সংগ্রহের চেয়ে ৮ রান বেশি! বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ৩৪ রান লিটন দাসের। মাত্র ১০ রান খরচে ৪ উইকেটে প্রোটিয়াদের সেরা বোলার আনরিখ নর্কিয়া।
সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে এদিন টসে জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ২০৫ রান করেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। দলটির পক্ষে রুশো ৫৬ বলে ৭ চার ও ৮ ছয়ে করেছিলেন ১০৯ রান। এছাড়াও কুইন্টন ডি ককের ব্যাট থেকে আসে ৩৯ বলে ৬৩ রান।
লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে প্রথম ওভারেই ১৭ রান তোলেন সৌম্য সরকার এবং নাজমুল শান্ত। তবে সেখানেই থেমে যায় বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা। প্রোটিয়া পেসার আনরিখ নরকিয়ে বাংলাদেশের ইনিংসের তৃতীয় ওভারে বল হাতে তুলে নিয়েই ২ উইকেট তুলে নেন। টাইগারদের দুই ওপেনার সৌম্য (৬ বলে ১৫ রান) এবং শান্তকে (৯ রান) ফেরান নরকিয়ে।
আরও পড়ুন: রুশোর সেঞ্চুরিতে টাইগারদের বড় লক্ষ্য বেঁধে দিল প্রোটিয়ারা
পাওয়ারপ্লের মধ্যে আবার বোলিংয়ে এসে শিকার করেন সাকিবের উইকেট। টাইগার অধিনায়ক অবশ্য আম্পায়ারের ভুল সিদ্ধান্তে এলবির ফাঁদে পড়েন। অবশ্য নিজেও রিভিউ নেননি সাকিব (১ রান)। পাওয়ারপ্লের মধ্যে ব্যক্তিগত ১ রান করে ফেরেন আফিফ হোসেনও।
মিরাজও ১১ রান করে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন। নিচের দিকে কোনো ব্যাটসম্যানই প্রতিরোধ গড়তে পারেননি। একপ্রান্তে লিটন ৩৪ রান করার পর শামসিকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে তিনিও ক্যাচ দিয়ে ফেরেন। দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে তাবরেইজ শামসি ২০ রানের বিনিময়ে ৩ উইকেট নিয়েছেন।