২৭ অক্টোবর ২০২২, ১২:২২

হারের ধারা অব্যাহত রাখলো বাংলাদেশ

রুশো- সাকিব  © সংগৃহীত

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সুপার টুয়েলভে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে বাংলাদেশের বিপক্ষে ২০ ওভার শেষে দক্ষিণ আফ্রিকার সংগ্রহ ৫ উইকেটে ২০৫ রান। ২০৬ রানের লক্ষ্যে নেমে ৬ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ৪৭ রান বাংলাদেশের। পাওয়ার প্লেতেই চার উইকেট হারিয়ে বিপর্যস্ত হয়ে যায় বাংলাদেশ। এরপরই খেই হারিয়েছে বাংলাদেশ। সবশেষ ১০৪ রানে অলআউট হয়ে টি-টোয়েন্টিতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে হারের ধারা অব্যাহত রাখলো বাংলাদেশ।

এর আগে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে প্রোটিয়াদের বিপক্ষে জয়ের দেখা মেলেনি বাংলাদেশের। হেড টু হেড এখন পর্যন্ত খেলা ৭ ম্যাচের সবগুলোতে হেরেছে টাইগাররা।

এদিন দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ম্যাচে বাংলাদেশ এই ফরম্যাটে নিজেদের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় ব্যবধানে হারের রেকর্ডের শিকার হয়েছে। সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে প্রোটিয়াদের বিপক্ষে ১০৪ রানের ব্যবধানে হার দেখেছে বাংলাদেশ। এর আগে ২০০৮ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে ১০২ রানের হার দেখেছিল বাংলাদেশ।

আরও পড়ুন: রাজধানীতে রেললাইন থেকে অন্যকে সরিয়ে নিজের প্রাণ হারাল স্কুলছাত্র

এই ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার রাইলি রুশো একাই করেছেন ১০৯ রান। বাংলাদেশ রুশোর রানটাই তুলতে পারেনি। টাইগার একাদশের সব ব্যাটসম্যান মিলিয়ে করতে পেরেছেন মোটে ১০১ রান। বরং ইনিংস শেষ হওয়ার ২০ বল আগেই অলআউট হয়ে গেছে বাংলাদেশ।

সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে এদিন টসে জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ২০৫ রান করেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। দলটির পক্ষে রুশো ৫৬ বলে ৭ চার ও ৮ ছয়ে করেছিলেন ১০৯ রান। এছাড়াও কুইন্টন ডি ককের ব্যাট থেকে আসে ৩৯ বলে ৬৩ রান।

লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে প্রথম ওভারেই ১৭ রান তোলেন সৌম্য সরকার এবং নাজমুল শান্ত। তবে সেখানেই থেমে যায় বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা। প্রোটিয়া পেসার আনরিখ নরকিয়ে বাংলাদেশের ইনিংসের তৃতীয় ওভারে বল হাতে তুলে নিয়েই ২ উইকেট তুলে নেন। টাইগারদের দুই ওপেনার সৌম্য (৬ বলে ১৫ রান) এবং শান্তকে (৯ রান) ফেরান নরকিয়ে।

পাওয়ারপ্লের মধ্যে আবার বোলিংয়ে এসে শিকার করেন সাকিবের উইকেট। টাইগার অধিনায়ক অবশ্য আম্পায়ারের ভুল সিদ্ধান্তে এলবির ফাঁদে পড়েন। অবশ্য নিজেও রিভিউ নেননি সাকিব (১ রান)। পাওয়ারপ্লের মধ্যে ব্যক্তিগত ১ রান করে ফেরেন আফিফ হোসেনও।

মিরাজও ১১ রান করে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন। নিচের দিকে কোনো ব্যাটসম্যানই প্রতিরোধ গড়তে পারেননি। একপ্রান্তে লিটন ৩৪ রান করার পর শামসিকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে তিনিও ক্যাচ দিয়ে ফেরেন। দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে তাবরেইজ শামসি ২০ রানের বিনিময়ে ৩ উইকেট নিয়েছেন।