২২ অক্টোবর ২০২২, ১০:৪১

আবারও সমালোচনায় নাজমুল হাসান পাপনের বিসিবি

নাজমুল হাসান পাপন, ফিরিয়ে দেয়া ব্যাট ও সাকিব আল হাসান  © সম্পাদিত

সমালোচনার অপর নাম যেন হয়ে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি)। কখনো ক্রিকেটার নির্বাচন করা নিয়ে কখনো বা ম্যাচ নিয়ে উদ্ভট সব সিদ্ধান্তের কারণে। তবে এবার ক্রিকেটারদের মতের বিরোধে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করানো নিয়ে সমালোচনায় জড়িয়েছে বিসিবি।

বিদেশ সফরে ক্রিকেটারদের সংবর্ধনার আবদার প্রবাসীদের নতুন নয়। তবে সেটা যদি ক্রিকেটারদের অমতে হয় তাহলে তা দুপক্ষের জন্যই বিব্রতকর হয়ে দাড়ায়। শুক্রবার (২১ অক্টোবর) ব্রিসবেনে এমনি এক বিব্রতর পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়েছিলেন বাংলাদেশের ক্রিকেট দল এবং স্থানীয় বাংলাদেশ কমিউনিটি।

শুক্রবার একটি সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে পাঠানো হয়েছিল সাকিবদের। জানা গেছে ক্রিকেটারদের অনেকের আপত্তি থাকারও পরেও ওই সংবর্ধনায় যেতে তাদের একরকম বাধ্য করা হয়। আর তারই প্রতিফল ঘটে অনুষ্ঠানে।

সেখানে গিয়ে প্রবাসীদের ভালোবাসার বদলে একরকম তিক্ত অভিজ্ঞতা নিয়েই ফিরেছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলতে যাওয়া সাকিব আল হাসানের দল। তবে প্রবাসীদের অভিযোগটা সাকিবের বিরুদ্ধেই বেশি।

আরও পড়ুন: ‘ইন্টারনেট ছাড়া অনুবাদকারী’ অ্যাপ তৈরি করল চবির আশরাফুল।

জানা গেছে, দলীয় এবং আলাদাভাবে ক্রিকেটারদের স্বাক্ষর নেওয়ার জন্য অনুষ্ঠানে অটোগ্রাফ ব্যাট রাখা হয়েছিল। তাতে দলের অন্যসব ক্রিকেটার সই করলেও সাকিব কোনো ব্যাটেই সই করেননি। আলোচনা অনুষ্ঠানেও একবাক্যে নিজের বক্তব্য শেষ করেছেন। 

আর এহেন আচরণে অপমানিত বোধ করেছেন অনুষ্ঠানসংশ্লিষ্ট ব্রিসবেনপ্রবাসী বাংলাদেশিরা। তাদের অভিযোগ, সাকিবরা এমন আচরণ করতে পারেন না। ক্রিকেট দলের কাছ থেকে যে আচরণ পেয়েছি সেটা দুঃখজনক। আমরা ক্রিকেট দলের কাছে আরও স্বতঃস্ফূর্ততা আশা করেছিলাম। কিন্তু সেটা পাইনি।

অপরদিকে আয়োজকদের বিরুদ্ধে উল্টো অভিযোগ তুলছেন ক্রিকেটাররা। না প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা জানান, ব্যাটে সই করা বা অনুষ্ঠানে আসা সবার সঙ্গে ক্রিকেটারদের আলাদা আলাদা ছবি তোলা—আগে থেকে দলকে এর কিছুই জানানো হয়নি। হুট করে এসব করতে বলায় ক্রিকেটাররা বিব্রত বোধ করেন। তা ছাড়া এত কিছু করার মানসিক অবস্থা ছিল না তাদের।

কিন্তু এসবের মধ্যে প্রশ্ন উঠছে, বিশ্বকাপের মধ্যে কেন এ ধরনের অনুষ্ঠানে যেতে বারবার দলকে বোর্ড থেকে বলা হবে? যেখানে সংবর্ধনা নয় ম্যাচ কিভাবে জিতা যায় সেই দিকে জোর না দিয়ে ম্যাচ খেলা বহির্ভূত প্রসঙ্গে কেন জোর দিচ্ছে বিসিবি?