কাতার বিশ্বকাপে রেফারিদের কো-অর্ডিনেটর বাংলাদেশি
আগামী ২০ নভেম্বর থেকে কাতারে শুরু হতে যাচ্ছে ফুটবল বিশ্বকাপে। স্বাভাবিকভাবেই মাঠের খেলায় নেই বাংলাদেশ।তবে একেবারেই নেই তা বলা যাবে না! গ্রেটেস্ট শো অন দ্য আর্থ- খ্যাত বিশ্বকাপে ম্যাচ পরিচালনায় নিযুক্ত রেফারিদের কো-অর্ডিনেটর হিসেবে কাজ করবেন বাংলাদেশেরই একজন। কাতার বিশ্বকাপে ম্যাচ পরিচালনায় নিয়োজিত থাকবেন সারা বিশ্বের ৩৬ জন রেফারি, ৬৯ জন সহকারী রেফারি ও ২৪ জন ভিডিও ম্যাচ অফিসিয়াল। তাদের সঙ্গে সমন্বয়কারী হিসেবে কাজ করবেন বাংলাদেশের রেফারি শিয়াকত আলী।
চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার মরিয়ম নগরের বাসিন্দা ২০১৩ সালে কাজের সূত্রে কাতারে পাড়ি জমান চট্টগ্রামের ছেলে শিয়াকত আলী। সেখানে বার্সেলোনার একটি রেফারি অন্বেষণ কার্যক্রমে অংশ নিয়েই কপাল খুলে যায় তার। প্রথমে কাতার ফুটবলে ১৬ দিনের রেফারি প্রশিক্ষণ শেষ করেন।
এরপর কাতারের স্পায়ার একাডেমি থেকে রেফারিং অ্যান্ড স্পোর্টস সাইকোলজিতে স্নাতক সম্পন্ন করেন। এরইমধ্যে রেফারিংয়ের ওপর সি ও ডি ডিপ্লোমা কোর্স শেষ করেছেন। কাতার ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনে কাজ করছেন সহকারী রেফারি হিসেবে।
মধ্যপ্রাচ্যের দেশটি একমাত্র বাংলাদেশি রেফারি কো-অর্ডিনেটর শিয়াকত। কাতার বিশ্বকাপের মঞ্চে দক্ষিণ এশিয়া থেকে একমাত্র রেফারি কো-অর্ডিনেটর হিসেবে দায়িত্ব পালনের সুযোগ পেয়ে খুশি তিনি।
আরও পড়ুন: ফাঁস হলো ব্যালন ডি’অর তালিকা
গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে শিয়াকত আলী বলেন, কাতার ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন এবং ফিফা কর্তৃপক্ষ রেফারিদের কো-অর্ডিনেটর হিসেবে ১০ জনকে নিয়োগ দিয়েছে। এর মধ্যে দক্ষিণ এশিয়া থেকে আমি যোগ হয়েছি। বিশ্বকাপে বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ পেয়ে আমি গর্বিত। সকলের কাছে দোয়া চাই।
তিনি আরও বলেন, আমি স্কুল ও কলেজের হয়ে ফুটবল খেলাগুলো খেলেছি। ফুটবল সবসময় রেসপেক্ট করতাম, আমি অ্যাথলেটিক ছিলাম। স্কুল ও কলেজে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের সঙ্গে জড়িত ছিলাম। জাতীয় পর্যায়ে আমার কোনো অর্জন নেই। কঠোর পরিশ্রম দিয়ে নিজেকে আরও এগিয়ে নিতে চাই। এখানে আমার দায়িত্ব পালন, আমার দেশকে প্রতিনিধিত্ব করবে। আমার পক্ষ থেকে আমি চেষ্টা করব যেন দায়িত্ব সুন্দর ও ভালোভাবে পালন করতে পারি।
সুযোগ পেলে বাংলাদেশের রেফারিদের সঙ্গেও কাজ করতে চান জানিয়ে শিয়াকত বলেন, সামনে কাতারের রেফারি এবং আমাদের রেফারিদের জন্যেও কাজ করতে চাই।