কাঁদলেন-কাঁদালেন, আবেগে ভাসিয়ে বিদায় টেনিস মহাতারকার
ক্রীড়া বিশ্বকে চোখের জলে ভাসিয়ে বিদায় নিলেন টেনিস কিংবদন্তি রজার ফেদেরার। নিজে কাঁদলেন, সবাইকেও কাঁদালেন টেনিসের এই মহা তারকা। অবাক করা বিষয় টেনিস মাঠে ফেদেরারের সব বড় শত্রু রাফায়েল নাদালও নিজেরি অশ্রু ধরে রাখতে পারেননি। বন্ধুর বিদায়ে পাশে বসে কাঁদলেন। ‘ফেদাল’ (ফেদেরার-নাদালকে একসঙ্গে এই নামে ডাকা হয়)-এর সেই বন্ধুত্ব, আবেগের বিস্ফোরণে কেঁদে ফেললো টেনিস দুনিয়াও। মনে রাখার মতো এক দৃশ্যের অবতারণা হলো লেভার কাপে শুক্রবার রাতে।
শুধু রাফা নন, লন্ডনের ও২ অ্যারেনায় লেভার কাপের ম্যাচ খেলতে, দেখতে হাজির সব খেলোয়াড়-দর্শক সবারই তো প্রায় একই অবস্থা হয়ে গিয়েছিল! টেনিস কিংবদন্তি রজার ফেদেরার বিদায় নিচ্ছেন, তার আবেগ ছুঁয়ে গিয়েছিল প্রায় সবাইকে। এমনকি ‘জোকার’ ডাকনামে পরিচিত যে নোভাক জকোভিচ, সেই তিনিও তো চোখ মুছলেন একটু আড়ালে!
২৪ বছরের টেনিস ক্যারিয়ারের ইতি টানলেন ফেডেরার। সর্বকালের সেরা ২০টি গ্র্যান্ড স্ল্যামজয়ী এই টেনিস তারকার অবসরে ক্রীড়াঙ্গন ভেসে যাচ্ছে আবেগে। ক্যারিয়ায়ের বিদায়বেলা ফেডেরারকে শুভেছা জানিয়েছেন খেলোয়াড় ও অন্য সেলেব্রিটিরা।
আরও পড়ুন: এসএসসি পরীক্ষা চলাকালে ফেসবুক লাইভে দুই শিক্ষার্থী!
প্রায় দুই দশক নাদালের বিপক্ষে কোর্টে লড়েছেন ফেডেরার। ক্যারিয়ারের সেরা সময়ে দুজন মিলে জিতেছেন ৪২টি গ্র্যান্ড স্ল্যাম। এই জুটি প্রথমবার ২০০৪ সালে একে অপরের মুখোমুখি হন। ৯টি গ্র্যান্ড স্ল্যামের ফাইনালসহ ৪০ বার মোকাবিলা করেছেন দুজন। এর মধ্যে নাদাল জিতেছেন ২৪টি, ফেদেরার ১৬টি।
এমন প্রবল প্রতিদ্বন্দ্বীর বিদায়ে আবেগে ভেসে গেছেন নাদাল। ম্যাচ শেষে প্রতিক্রিয়ায় জানান, ফেদেরারের বিদায়ে নিজের একটা অংশকেই যেন বিদায় দিতে হচ্ছে তাকে।
নাদালের ভাষায়, ফেদেরার তার জীবনের গুরুত্বপূর্ণ অংশ। টেনিসেরও কম কী? এখন নাদাল-জকোভিচরা তাকে ছাড়িয়ে গেলেও, ইতিহাসে প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে তিনিই যে ২০ গ্র্যান্ড স্ল্যামের গেরো খুলেছেন, দুই গ্র্যান্ড স্ল্যামে ১০০’রও বেশি জয়, এটিপি র্যাঙ্কিংয়ের চূড়ায় সবচেয়ে বেশি দিন থাকার রেকর্ড… এ সব কিছু তার দখলে।