কক্সবাজার গিয়ে ধর্ষণে শিকার, স্কুলছাত্রীর আত্মহত্যা
চট্টগ্রামে বয়ফ্রেন্ডের সঙ্গে দেখা করতে কক্সবাজার গিয়ে দেখা না হওয়ায় এক স্কুলছাত্রী আত্মহত্যা করেছেন। এ ঘটনায় ওই ছাত্রীর বোন সালমা আক্তার বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছেন।
শুক্রবার (৩ জুন) রাতে বায়েজিদ বোস্তামি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. কামরুজ্জামান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। নিহত স্কুলছাত্রী সানিহা আফরিন মুমু (১৬) বায়েজিদ বোস্তামি থানা বায়েজিদ নগর আবাসিক এলাকায় নূর আলমের মেয়ে ও ডা. মাজহারুল হক উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থী।
নিহতের পরিবারের বরাত পুলিশ জানিয়েছে, গত ৩১ মে বান্ধবীকে নিয়ে বয়ফ্রেন্ডের সঙ্গে দেখা করতে কক্সবাজার যায় সানিহা আফরিন মুমু। কিন্তু কক্সবাজারে বয়ফ্রেন্ডের সঙ্গে তার দেখা হয়নি। এ ঘটনায় ওই স্কুলছাত্রীর বান্ধবী চট্টগ্রামে ফিরে আসে। কিন্তু সানিহা আফরিন কক্সবাজারে থেকে যায়।
পুলিশ আরও জানিয়েছে, এরপর বুধবার সানিহা আফরিন ফিরে আসে এবং স্কুলের ইংরেজি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। কিন্তু শুক্রবার নিজ কক্ষে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে সানিহা আফরিন।
এ ব্যাপারে নিহত মুমু খালাতো বোন সালমা দাবি করেন, মুমুর সঙ্গে একটি ছেলের সম্পর্ক ছিল। গত ৩১ মে ছেলেটি বিয়ের কথা বলে মুমুকে কক্সবাজার নিয়ে যায়। এরপর মুমুকে বিয়ে না করে চলে আসতে বলে। এক পর্যায়ে কথিত প্রেমিক মুমুকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেছে। এরপর মুমু ১ জুন বাসায় চলে এসেছে। এরপর সকালে বাসার ফ্যানের সঙ্গে আত্মহত্যা করেছে মুমু।
বায়েজিদ বোস্তামি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. কামরুজ্জামান জানান, ওই ছাত্রীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, সানিহা আফরিন মুমু আত্মহত্যা করেছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় ভিক-টিমের বোন সালমা আক্তার বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছেন। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।