বোনের সন্তানের গলায় ছুরি ধরে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ
খুলনার বটিয়াঘাটায় বড় বোন ও তার শিশুকে জিম্মি করে এক স্কুলছাত্রীকে (১৪) সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। সোমবার (১৬ মে) বটিয়াঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. শাহজালাল এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে, শনিবার মধ্যরাতে উপজেলার বালিয়াডাঙ্গি ইউনিয়নের ফুলবাড়ী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। তবে রোববার ভুক্তভোগীকে হাসপাতালে নেওয়া হলে এ ঘটনার জানাজানি হয়। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী স্কুলছাত্রীর মা বাদী হয়ে বটিয়াঘাটা থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
এ ঘটনায় র্যাব-৬ ও পুলিশের পৃথক অভিযানে ঘটনার মূলহোতা মুজাহিদ শেখ (২৪), মো. আজিজুল মোড়ল ওরফে মিশরিয়া (২৫) ও নাঈম মোড়লকে (২৪) আটক করেছে।
ধর্ষণের শিকার স্কুলছাত্রীর মায়ের বরাতে পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার দিন বোনের বাড়ি ডুমুরিয়ায় গিয়েছিলেন তিনি। এ সময় তার স্কুলপড়ুয়া মেয়ে, বোনের মেয়ে ও তার শিশু বাচ্চাকে বাসায় রেখে যান তিনি। পরে রাতে প্রায় ৭/৮ জন তরুণ তাদের বাড়িতে এসে ওই স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ চেষ্টা চালায়। এ সময় ওই স্কুলছাত্রীর খালাতো বোন বাঁধা দিয়ে স্কুলছাত্রীকে রক্ষা করতে চেষ্টা করেন। পরে তার শিশু সন্তানের গলায় ছুরি ধরে পালাক্রমে তাদেরকে ধর্ষণ করা হয়। এ ঘটনার এক পর্যায়ে ওই শিশুটিকে পানিতে চুবিয়ে রাখে অভিযুক্তরা। পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় শিশুটিকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
আরও পড়ুন: প্রেমিকের সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকারের অভিযোগ
ওই স্কুলছাত্রীর মা জানান, শনিবার রাতে আমার মোবাইল বন্ধ হয়ে যায়। সকালে ঘটনাটি জানতে পারি। প্রথমে ভয়ে কাউকে বিষয়টি জানাইনি। মেয়ের অবস্থা খারাপ হলে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
বটিয়াঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. শাহজালাল জানান, স্কুলছাত্রীকে ও তার খালাতো বোনকে ধর্ষণ করা হয়েছে। এ ঘটনার মূলহোতা মুজাহিদ, আজিজুল ও নাঈমকে গ্রেফতার করা হয়েছে। স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য তাদেরকে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) পাঠানো হয়েছে।