ঈদের দিন শ্যালকের প্রেমিকা স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণচেষ্টা

স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ
স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ   © প্রতীকী ছবি

মুঠোফোনে দুজনের মধ্যে পরিচয়। এরপর প্রেমের টানে কুড়িগ্রামের কচাকাটা থেকে রংপুরের বদরগঞ্জে এসেছেন। সেখানে এসে প্রেমিকের দুলাভাইয়ের ধর্ষণ চেষ্টার শিকার হয়েছেন সপ্তম শ্রেণি পড়ুয়া এক স্কুলছাত্রী। 

এ ঘটনায় ওই দুলাভাইকে পুলিশে সোপর্দ করেছে এলাকাবাসী। পরে মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে শ্যালক ও দুলাভাইকে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ।

মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, চার মাস আগে মুঠোফোনে ওই স্কুলছাত্রীর সঙ্গে নারায়ণপুর ইউনিয়নের বালারহাট গ্রামের শহিদুল ইসলামের (৩২) প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। শহিদুল বিবাহিত ও দুই সন্তানের জনক। তবে শহিদুল বিষয়টি গোপন রেখেছিলেন। পরে ওই স্কুলছাত্রীকে ফুঁসলিয়ে ঈদের দিন মঙ্গলবার (৩ মে) সন্ধ্যায় রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলার রামনাথপুর ইউনিয়নে ভগ্নীপতি আরিফুল ইসলামের বাড়িতে নিয়ে যান তিনি। আরিফুল ওই স্কুলছাত্রীকে নিজের বাসায় রাখলেও শ্যালক শহিদুলকে কৌশলে অন্য জায়গায় পাঠিয়ে দেয়। 

জানা যায়, গভীর রাতে শহিদুলের কাছে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে ওই শিক্ষার্থীকে বাড়ি থেকে বের করে পার্শ্ববর্তী জেলেপাড়ার একটি ভুট্টাক্ষেতে নিয়ে যায়। সেখানে ওই স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টা চালান আরিফুল। এ সময় ওই স্কুলছাত্রী চিৎকার দিলে জেলেপাড়ার লোকজন তাকে উদ্ধার করে। তবে আরিফুল পালিয়ে যায়।

এদিকে কুড়িগ্রামে বিষয়টি জানানো হলে ওই স্কুলছাত্রীর চাচা বাদী হয়ে থানায় অপহরণ ও ধর্ষণ চেষ্টার মামলা দায়ের করেন। পরে বৃহস্পতিবার (৫ মে) পুলিশ শ্যালক শহিদুল ও দুলাভাই আরিফুলকে গ্রেফতার করেছে। এদিন বিকালে তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। 

বদরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান জানান, শহিদুল ইসলাম বিবাহিত ও দুই সন্তান রয়েছে। অবিবাহিত পরিচয়ে ওই স্কুলছাত্রীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন তিনি। এ ঘটনায় দু’জনকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।


সর্বশেষ সংবাদ