ফেল করায় ২৩ শিক্ষার্থীকে ছাড়পত্র দিচ্ছে রাজউক স্কুল
পরীক্ষায় ফেল করায় ২৩ শিক্ষার্থীকে বাধ্যতামূলক ছাড়পত্র (টিসি) দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজধানীর রাজউক উত্তরা মডেল স্কুল এন্ড কলেজ। ফেল করা ২৩ শিক্ষার্থীর মধ্যে ষষ্ঠ শ্রেণির নয়জন রয়েছে। এছাড়া সপ্তম শ্রেণিতে একজন। বাকিরা নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী। গত ৩০ ডিসেম্বর রাজউক উত্তরা মডেল কলেজ কর্তৃপক্ষ এমন সিদ্ধান্ত নেয়। এরপর সংশ্লিষ্ট ক্লাস শিক্ষকরা সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন শুরু করেন।
সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ইতোমধ্যে প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন নথি থেকে তাদের নাম কাটা হয়েছে। এ সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারেনি সংশ্লিষ্ট শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। এতে তাদের মাঝে ক্ষোভ ও অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছে। তারা ঢাকা শিক্ষাবোর্ডসহ বিভিন্ন সরকারি সংস্থায় অভিযোগ করেছেন।
ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির এসব শিক্ষার্থী প্রথমবার বার্ষিক পরীক্ষার পাস করতে পারেনি। দ্বিতীয়বার পরীক্ষার সুযোগ দিলে তাতেও ফেল করলে তাদেরকে টিসি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। ৫৬ জনের মধ্যে প্রথম পরীক্ষায় ৪১ জন ফেল করে। এরপর ফের পরীক্ষা নিলে ১৩ জন ফেল করেছে।
আরও পড়ুন- শাবিপ্রবিতে ৪২ জন করোনায় আক্রান্ত, দাবি ভিসির
নাম প্রকাশ না করে এক অভিভাবক জানান, করোনায় সশরীরে স্কুল বন্ধ থাকার কারণে অনলাইনে ক্লাস হওয়াতে শিক্ষার্থীরা ঠিকমত লেখাপড়া করতে পারেনি। সামান্য সংখ্যক ক্লাস সশরীরে হলেও তারা ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারেনি তাই এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এর দায় যদি শিক্ষার্থীর হয়ে থাকে তাহলে স্কুলেরও থাকার কথা।
আরেক অভিভাবক বলেন, আসলে স্কুল বা শিক্ষার্থী কাউকে এ দায় না দিয়ে এখন ঠিকমতো পড়ালেখা হওয়া দরকার। এ কাজটি করবে স্কুল কর্তৃপক্ষ। সেটি না করে কর্তৃপক্ষ দায়িত্বজ্ঞানহীন সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে মনে করেন তিনি।
আরও পড়ুন- শিক্ষার্থীদের হল-ক্যাম্পাস ছেড়ে যাওয়ার অনুরোধ ভিসির
জানতে চাইলে প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তায়েফ উল হক বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে আমাদের সশরীরে ক্লাস বন্ধ থাকলেও শিক্ষকরা নিয়মিত অনলাইন ক্লাস নিয়েছেন। সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আমরা ডিসেম্বরে বার্ষিক পরীক্ষা নিয়েছি। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় আমরা বার্ষিক পরীক্ষায় সব বিষয় বাদ দিয়ে শুধু বাংলা, ইংরেজি ও অংক বিষয়ের উপর সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে পরীক্ষা নিয়েছি। সেখানে ফেল করা শিক্ষার্থীদের পরবর্তী দুই সপ্তাহ বিশেষ ক্লাস করিয়ে আবারও রি-টেস্ট পরীক্ষা নেওয়া হয়। সে পরীক্ষার ২৩ জন আবারও ফেল করে। এক ক্লাসে শিক্ষার্থীর দুই বছর থাকার নিয়ম নেই।তাই তাদের টিসি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।