তালিকা হবে ঝরে পড়া শিক্ষার্থীদের
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) করোনাকালে ঝরে পড়া শিক্ষার্থীদের তালিকা করার উদ্যোগ নিয়েছে। এ বিষয়ে জেলা পর্যায়ে তথ্য সংগ্রহ করতে আগামী রবিবার (৯ জানুয়ারি) সব স্কুল-কলেজে চিঠি পাঠানো হবে। চিঠিতে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি ও অনুপস্থিতির তথ্য পাঠাতে নিদের্শনা দেওয়া হবে ২৯ জানুয়ারির মধ্যে।
মঙ্গলবার (৪ জানুয়ারি) মাউশির পরীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের পরিচালক অধ্যাপক আমির হোসেন এ তথ্য জানান।
আরও পড়ুন: শিক্ষক-শিক্ষার্থী অনুপাতে আন্তর্জাতিক মান নেই ৫৮ বিশ্ববিদ্যালয়ে
তিনি বলেন, সারাদেশে কী পরিমাণ শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে, ভর্তি হয়েছে, কতজন শিক্ষার্থী স্কুল-কলেজে আসছে না, সেসব তথ্য সংগ্রহের কাজ শিগগিরই শুরু হবে। আশা করছি আগামী রবিবার দেশের সব মাঠ কর্মকর্তা ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা পাঠানো হবে। তাতে ছক আকারে ইমেইলে তথ্য পাঠাতে বলা হবে। সেটি চূড়ান্ত করতে গতকাল সোমবার সভা করে প্রশ্নমালা ঠিক করা হয়েছে।
অধ্যাপক আমির হোসেন আরও বলেন, করোনার পর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সচল হলেও মাধ্যমিক পর্যায়ে শিক্ষার্থীর উপস্থিতি ছিল ৫০ থেকে ৬০ শতাংশ। তবে মাধ্যমিকে ৯৩ শতাংশ অ্যাসাইনমেন্ট জমা দিয়েছে। তার পরিপেক্ষিতে বোঝা যাচ্ছে মাধ্যমিকে ৯৩ শতাংশ শিক্ষার্থী পড়ালেখার মধ্যে রয়েছে, বাকি সাত শতাংশ ঝরে পড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: হাবিপ্রবিতে প্রধানমন্ত্রী স্বর্ণপদকে এগিয়ে মেয়েরা
করোনার প্রাদুর্ভাবের আগে ২০১৯ সালে প্রাথমিকে ঝরে পড়ার হার ছিল ১৭ দশমিক ৯ শতাংশ আর মাধ্যমিকে এই হার ছিল ৩৭ দশমিক ৬২ শতাংশ। এই হার ছিল ক্রম হ্রাসমান। তবে করোনার কারণে সেটি আবার বাড়বে বলে আশঙ্কা ছিল আগেই।
উল্লেখ্য, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শুরু হলে ২০২০ সালের ১৭ মার্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয়া হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলে দেড় বছর পর গত বছর ১২ সেপ্টেম্বর খুলে দেয়া হয় প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো। খুলে দেয়া হয় বিশ্ববিদ্যালয়সহ অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও।