যেভাবে জানা যাবে বেসরকারি স্কুলে ভর্তির লটারির ফল
রাজধানীসহ সারাদেশে বেসরকারি স্কুলগুলোতে (মহানগর ও জেলা পর্যায়) ২০২২ শিক্ষাবর্ষে প্রথম থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থী ভর্তির ডিজিটাল লটারি হবে আজ রোববার। বিকেল ৩টায় ঢাকার জাতীয় শিক্ষা ব্যবস্থাপনা একাডেমিতে (নায়েম) এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করবেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের ফেসবুক পেজ এবং টিভি চ্যানেলগুলো ডিজিটাল লটারির এ অনুষ্ঠান সরাসরি সম্প্রচার করবে।
আরও পড়ুন: বেসরকারি স্কুলে ভর্তির লটারি আজ
ডিজিটাল লটারি প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার পর এই ওয়েবসাইটে https://gsa.teletalk.com.bd গিয়ে শিক্ষার্থীরা তাদের নির্ধারিত আইডি ও পাসওয়ার্ড দিয়ে ফল ডাউনলোড করতে পারবেন।
ডাউনলোড করা ফল প্রাপ্তির সঙ্গে সঙ্গে প্রতিষ্ঠানপ্রধানেরা সংশ্লিষ্ট জেলা ও উপজেলা ভর্তি কমিটির সভাপতি বরাবর ই-মেইল পাঠিয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরকে জানাবেন।
নির্বাচিত প্রার্থীদের ভর্তির ক্ষেত্রে ভর্তি কমিটির সভা আহ্বান করে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে শিক্ষার্থীদের ভর্তির ব্যবস্থা নেবেন।
আরও পড়ুন: বয়স জটিলতায় ভর্তি অনিশ্চিত হাজারো শিক্ষার্থীর
লটারির ফল প্রকাশের পর যেসব প্রতিষ্ঠানে শ্রেণিভিত্তিক শূন্য আসন পূরণ হবে না, সেসব প্রতিষ্ঠানে মাউশির ২ ডিসেম্বরের পত্র অনুসরণ করে বাকি শূন্য আসনে শিক্ষার্থী ভর্তির কার্যক্রম সম্পন্ন করতে হবে।
জানা গেছে, মহানগর ও জেলা পর্যায়ের দুই হাজার ৯০৭ বেসরকারি স্কুলে ৯ লাখ ৪০ জাহার লাখ আসনে ৩ লাখ ৬৮ হাজার ভর্তিচ্ছু আবেদন করেছেন। তারা ৭ লাখ ১৪ হাজার চয়েস দিয়েছেন। সে হিসেবে আগামী শিক্ষাবর্ষে বেসরকারি স্কুলগুলোতে প্রায় ছয় লাখ আসন ফাঁকা থাকার শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, মহানগর ও জেলা পর্যায়ের দুই হাজার ৯০৭ টি বেসরকারি স্কুলে ৯ লাখ ৪০ হাজার ৮৭৬টি আসনে ৩ লাখ ৬৮ হাজার ভর্তিচ্ছু প্রথম থেকে নবম শ্রেণিতে ভর্তির আবেদন করেছেন। গত ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত বেসরকারি স্কুলগুলোতে ভর্তির আবেদন অনলাইনে গ্রহণ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: স্কুলে ভর্তির ফলাফলে এক ছাত্রীর নাম পাঁচবার!
গত ২৫ নভেম্বর থেকে সরকারি-বেসরকারি স্কুল ভর্তির অনলাইন আবেদন কার্যক্রম শুরু হয়। ২১ থেকে ২৭ ডিসেম্বর বেসরকারি স্কুলে লটারির মাধ্যমে নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের ভর্তি করা হবে। আর ২৮ থেকে ৩০ ডিসেম্বর অপেক্ষমান তালিকা থেকে বেসরকারি স্কুলে শিক্ষার্থীদের ভর্তি করা হবে।
কেন্দ্রীয় ভর্তি কার্যক্রমে যেসব সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করতে পারেনি সেসব স্কুলেও লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থী ভর্তি করতে বলা হয়েছে।