ভর্তি তালিকায় এক ছাত্রের নাম ৬ বার!
নোয়াখালী জিলা স্কুলের ষষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তির জন্য অনলাইন লটারির ফলাফলের তালিকায় এক ছাত্রের নাম ছয়বার এসেছে। এ ঘটনায় অনলাইন লটারি নিয়ে অভিভাবকদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। বুধবার (১৫ ডিসেম্বর) মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর অনলাইনে ভর্তির ওই ফলাফল প্রকাশ করে। এতে নোয়াখালী জিলা স্কুলে ভর্তির জন্য ২১২ জন শিক্ষার্থীর তালিকা প্রকাশ করা হয়।
এতে দেখা যায়, ওই ছাত্রের নাম তালিকার ৩, ৪, ২৬, ৪০, ৫৭ ও ৬৪ নম্বরে স্থান পেয়েছে। এরমধ্যে তিনটি মুক্তিযোদ্ধা কোটা ও তিনটি জেনারেল কোটা। একটিতে ‘মর্নিং’ ও বাকি পাঁচটিতে ‘ডে’ শিফট দেখানো হয়েছে। এনিয়ে জেলাজুড়ে ব্যাপক আলোচনা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: বিবাহিত ছাত্রীদের হলে থাকতে না দেয়ার বিধান বাতিলের দাবি
শুক্রবার (১৭ ডিসেম্বর) বিকেলে নোয়াখালী জিলা স্কুলের প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) নুর উদ্দিন মো. জাহাঙ্গীর গণমাধ্যমকে বিয়ষটি নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, কেন একই ছাত্রের নাম একই তালিকায় বারবার এলো—বিষয়টি আমরাও বুঝছি না। আমরা শুধু অনলাইনে প্রাপ্ত ফলাফল প্রিন্ট করে প্রকাশ করেছি। বিষয়টি রবিবার (১৯ ডিসেম্বর) জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে ভর্তি কমিটির সভায় তোলা হবে।
মাহবুবুর রহমান নামের একজন অভিভাবক বলেন, এতে অবশ্যই জালিয়াতির আশ্রয় নেওয়া হয়েছে। তা নাহলে এক ছাত্রের নাম ছয়বার আসবে কেন? এতে আরও পাঁচজন ছাত্র ভর্তির সুযোগ থেকে বঞ্চিত হবে।
আরও পড়ুন: নিম্নমানের খাবারে স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে শিক্ষার্থীরা
আবদুর রশিদ নামের একজন শিক্ষক বলেন, একজন ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী একবার আবেদন করার সুযোগ পায়। সেক্ষেত্রে একাধিক আবেদন না করলে কম্পিউটারে এ ভুল করার কথা নয়। তদন্ত করলে সব কিছু বেরিয়ে আসবে।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন শিক্ষা কর্মকর্তা বলেন, জন্ম তারিখ ইচ্ছামতো পরিবর্তন করে একই নামে একাধিক আবেদন করায় এটি হতে পারে। তবে এমন জালিয়াতির আশ্রয় নেওয়া উচিত নয়।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ খোরশেদ আলম বলেন, যদি জন্মনিবন্ধন জালিয়াতি করে একাধিক আবেদন করা হয় তাহলে সঠিক জন্মনিবন্ধন দেখাতে না পারলে ভর্তির সুযোগ দেওয়া হবে না। এক্ষেত্রে জন্মনিবন্ধন সংশোধনেরও কোনো সুযোগ নেই। এ বিষয়ে তদন্ত করে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।