এসএসসি পরীক্ষা ২০২১

পরীক্ষা কেন্দ্রে ভুল নির্দেশনা দিয়ে বহিষ্কার হলেন শিক্ষক

 শিক্ষক জয়নাল আবেদীন সেন্টু
শিক্ষক জয়নাল আবেদীন সেন্টু   © সংগৃহীত

এসএসসি পরীক্ষা কেন্দ্রে শিক্ষার্থীদের ভুল নির্দেশনা দেওয়ায় হল সুপারের দায়িত্বে থাকা এক শিক্ষককে পাঁচ বছরের জন্য সমস্ত পাবলিক পরীক্ষা থেকে বহিষ্কার করেছে কর্তৃপক্ষ। রবিবার (১৪ নভেম্বর) নাটোরের বাগাতিপাড়া সরকারি পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে এই ঘটনা ঘটে। 

বহিষ্কৃত শিক্ষক জয়নাল আবেদীন সেন্টু তার ‘অনাকাঙ্ক্ষিত ভুল’ স্বীকার করে এজন্য শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন।    

জানা যায়, রবিবার (১৪ নভেম্বর) এসএসসি পরীক্ষা- ২০২১ এর প্রথম দিন পদার্থ বিজ্ঞান বিষয়ে ২৫টি বহুনির্বাচনী প্রশ্নের বিপরীতে ১২টির উত্তর দেওয়ার নিদের্শনা ছিল। কিন্তু বাগাতিপাড়া মহিলা ডিগ্রি কলেজ কেন্দ্রের পরীক্ষার্থীদের ২৫টি প্রশ্নেরই উত্তর দেওয়ার নিদের্শনা দেন হল সুপারের দায়িত্বে থাকা শিক্ষক জয়নাল আবেদীন। ফলে পরীক্ষার্থীরা সংক্ষিপ্ত সময়ে তাড়াহুড়ো করে উত্তরগুলো দেয়। 

ওই কেন্দ্রের অধিকাংশ শিক্ষার্থী দয়ারামপুর কাদিরাবাদ ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুলের পরীক্ষার্থী ছিলেন। তারা পরীক্ষা শেষে নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক এবং অভিভাবকদের বিষয়টি জানালে ওই শিক্ষকের ভুল সিদ্ধান্তের বিষয়টি সামনে আসে। তখন বিক্ষুব্ধ পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকরা শিক্ষক জয়নাল আবেদীনকে অবরুদ্ধ করে রাখেন।

ভুল নির্দেশনা পাওয়া নিয়ে কাদিরাবাদ ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুলের শিক্ষার্থী মুশফিকুর রহমান মারুফ বলেন, ওই শিক্ষকের ভুল নির্দেশনার কারণে আমাদের তাড়াহুড়ো করে পরীক্ষা দিতে হয়েছে। এতে অনেক প্রশ্নের উত্তর ভুল হয়েছে। 

এ সময় ভুল নির্দেশনা দেওয়া শিক্ষক জয়নাল আবেদীন তার ভুল স্বীকার করে ক্ষমা চান। তিনি বলেন, বিষয়টি আমার জানা ছিল না, আমার ভুল হয়েছে। আমি সবার কাছে ক্ষমা চাচ্ছি।

পরে কেন্দ্র সচিব আব্দুস সালাম ঘটনার বিস্তারিত শুনে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) প্রিয়াংকা দেবী পাল ও উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আহাদ আলীকে অবহিত করেন। ঘটনা শুনে ইউএনও শিক্ষা বোর্ডের সঙ্গে কথা বলে ওই কেন্দ্রের ১৭০ জন পরিক্ষার্থীর সঙ্গে ঘটে যাওয়া ঘটনা সমাধান করার আশ্বাস দেন। একই সঙ্গে কেন্দ্র সুপার জয়নাল আবেদীনকে পাঁচ বছরের জন্য বহিষ্কার করেন।  

সমাধানের আশ্বাস পেয়ে বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে অবরুদ্ধ শিক্ষক জয়নাল আবেদীনকে মুক্ত করে দেন বিক্ষুব্ধ পরীক্ষার্থীরা।

এ বিষয়ে ইউএনও প্রিয়াংকা দেবী পাল জানান, শিক্ষা বোর্ডের সঙ্গে তাদের কথা হয়েছে। বোর্ডের নির্দেশনা মতো বাগাতিপাড়া মহিলা ডিগ্রি কলেজ কেন্দ্রে থাকা ১৭০ জন পরীক্ষার্থীর রোল এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র বোর্ডে পাঠানোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। 

ইউএনও বলেন, তারা (বোর্ড) আমাদের বলেছেন, যেহেতু ভুল হয়ে গেছে তাই তারা বাড়তি সুবিধা পাবেন। ওই কেন্দ্রে থাকা শিক্ষার্থীরা যারা ২৫টি বহুনির্বাচনী প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন তাদের সবগুলোই দেখা হবে। এর মধ্য থেকে সঠিক বিবেচনায় সর্বোচ্চ ১২টির নম্বর তারা পাবেন। 


সর্বশেষ সংবাদ