প্রশ্নের নম্বর বিভাজন নিয়ে ভোগান্তিতে এসএসসি পরীক্ষার্থীরা

এসএসসি পরীক্ষার্থী
এসএসসি পরীক্ষার্থী   © সংগৃহীত

এসএসসি পরীক্ষার প্রথম দিনেই প্রশ্নপত্রের নম্বর বিভাজন ও সময় নিয়ে ভোগান্তিতে পড়েছেন শিক্ষার্থীরা। শিক্ষা বোর্ডের দেয়া নির্দেশিকা অনুযায়ী নম্বর বন্টন ও প্রশ্নপত্র না হওয়ায় এই ভোগান্তির সৃষ্টি হয়েছে বলে অভিযোগ তাদের।

জানা গেছে, রোববার (১৪ নভেম্বর) সকাল ১০টা থেকে এসএসসি পরীক্ষার্থীদের পদার্থ বিজ্ঞান বিষয়ের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। বোর্ডের নির্দেশনা অনুযায়ী দেড় ঘণ্টায় শিক্ষার্থীদের ৩২ নম্বরের উত্তর করার কথা থাকলেও প্রশ্নে লেখা ছিল ৩ ঘণ্টায় ৭৫ নম্বরের উত্তর করতে হবে। ফলে বিপাকে পড়েন পরীক্ষার্থীরা।

সূত্র জানায়, গত ৬ অক্টোবর এসএসসি পরীক্ষার্থীদের মানবন্টন প্রকাশ করা হয়। প্রকাশিত মানবন্টন অনুযায়ী পদার্থ বিজ্ঞান বিষয়ের প্রশ্নপত্রে ৮টি রচনামূলক প্রশ্ন থাকবে। এর মধ্যে দুইটি প্রশ্নের উত্তর লিখতে হবে। সময় থাকবে ১ ঘণ্টা ১০ মিনিট। আর ২৫টি এমসিকিউ প্রশ্নের মধ্যে ১২টির উত্তর করার কথা থাকলেও পদার্থ বিজ্ঞান বিষয়ের বহুনির্বাচনি অংশে ২৫টি এমসিকিউয়ের উত্তরই করতে বলা হয়।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, প্রশ্নপত্রের নির্দেশনা অনুযায়ীই তারা বহুনির্বাচনি অংশের উত্তর করছিলেন। তবে ১৫ মিনিট অতিবাহিত হওয়ার পর হঠাৎ করেই তাদের উত্তরপত্র নিয়ে নেয়া হয়। এতে এমসিকিউ অংশের সম্পূর্ণ উত্তর করতে পারেননি তারা।

যদিও শিক্ষা বোর্ডের কর্মকর্তারা বলছেন, পরীক্ষার নির্দেশিকা তৈরির অনেক আগেই প্রশ্নপত্র প্রস্তুত হওয়ায় এমন বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়েছে। এ বিষয়ে পরীক্ষা শুরুর পূর্বেই শিক্ষার্থীদের পরিষ্কার ধারণা দিতে কেন্দ্র সচিবদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছিল। তাদের অবহেলার কারণেই শিক্ষার্থীরা ভোগান্তির শিকার হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক এসএম আমিরুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, এসএসসি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র তৈরি করতে ও কেন্দ্রে পৌঁছাতে অনেক সময় লেগে যায়। সেজন্য আমরা কয়েক মাস আগেই প্রশ্ন কেন্দ্রে পাঠিয়ে দেই। আর পরীক্ষা সংক্রান্ত নির্দেশিকা কয়েকধাপে পরিবর্তন করে একমাস আগে পাঠানো হয়েছে। তবে এই নির্দেশিকা সম্পর্কে কেন্দ্র সচিবদের ব্রিফ করতে বলা হয়েছিল। এছাড়া কেন্দ্রে নির্দেশিকা টাঙাতে বলা হয়েছিল। কেন্দ্র সচিব সেগুলো না করলে এর দায়ভার তার নিজের।


সর্বশেষ সংবাদ