২৬ অক্টোবর ২০২১, ১৩:০১

স্কুল আছে জমি নেই, বিপাকে শিক্ষার্থীরা!

স্কুল আছে জমি নেই  © সংগৃহীত

স্কুল আছে জমিন নাই। মাত্র ১০ শতক জমি স্কুলের জন্য ব্যবহার করা হয়। বাকি জমি থাকলে তার রয়েছে দাতা পক্ষের নামে। বর্তমানে বিদ্যালয়টি অতিরিক্ত কোনো জায়গা না থাকায়, শিক্ষক-ছাত্রছাত্রীদের চরম কষ্টের ভেতর দিয়ে পাঠদান চালিয়ে আসতে হচ্ছে।

বিদ্যালয়টি ঘুরে দেখা গেছে, একই জায়গায় বারবার ভবন নির্মাণ করা হয় আর ভাঙা হয়। আশ্চর্যজনক হলেও এভাবেই স্কুলটি স্বীকৃতি পেয়েছে। স্কুলটি প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৯৫ সালে। নাম বেতকাশি মাধ্যমিক বিদ্যালয়। বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলার দৈবজ্ঞহাটী ইউনিয়নের বেতকাশি গ্রামে অবস্থিত প্রিতষ্ঠানটি অবস্থিত।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, এ স্কুলের নামে কোনো জমির রেকর্ড নেই। অথচ এ স্কুলের প্রধান শিক্ষক মো. লুৎফর রহমান তালুকদার জানান, স্কুলের নামে ৭০ শতক জমি আছে। কিন্তু কোনো কাগজপত্র দেখাতে অপারগ তিনি। স্কুলের জমি দাতা তার পরিবার।

জানা গেছে, স্কুলের শিক্ষার্থী সংখ্যা প্রায় ৩শ জন। প্রধান শিক্ষকসহ ১০ জন স্টাফ এমপিওভুক্ত আছেন।

আরো জানা গেছে, স্কুলের একমাত্র ভবনটি ভাঙ্গা হচ্ছে। স্কুলের ক্লাস চলছে পার্শবর্তী প্রাথমিক স্কুল কাম সাইক্লোন শেল্টারের নিচ তলায়।

সবচেয়ে বড় ব্যাপার হচ্ছে, ভবনটি ভাঙা হচ্ছে সেটি ১৪৩ ফুট দীর্ঘ এবং প্রশস্ত প্রায় ৩০ ফুট বিশিষ্ট একটি সেমিপাকা ভবন, যা ২০১৯ সালে নির্মিত। যার রঙের কাজও বাকি ছিল। গত ৯ সেপ্টেম্বর মাত্র ৯৮ হাজার টাকায় নিজেদের লোককে নিলাম দেয়া হয় বলে অভিযোগ আছে। অভিযোগ আছে যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়াই কেবল এডহক কমিটির সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের স্বাক্ষর নিয়েই প্রধান শিক্ষক নিলাম করে দিলেন স্কুল ভবনটি। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আ. হান্নানের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, এ বিষয় তিনি অবগত নন।

বর্তমানে স্কুলের নামে কোনো জায়গা না থাকলেও একই স্থানে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের অর্থায়নে ৪ তলা বিশিষ্ট ভবন পাশ হয়েছে এখন। আর এজন্যই প্রায় দুই বছর আগে নির্মিত ওই ভবন নিলামে সরিয়ে জায়গা ফাঁকা করছে স্কুল কর্তৃপক্ষ।

এ বিষয়ে স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা শামসুর রহমান তালুকদার স্কুলের প্রধান শিক্ষকের নামে জমির কথা স্বীকার করে বলেন, এরকম চিত্র তো বাংলাদেশের গ্রামীণ এলাকার অধিকাংশ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের।