জেএসসি-এসএসসিতে ভালো করেও ফল খারাপ হলো কেন?

  © ফাইল ফটো

জেএসসি ও এসএসসি পরীক্ষার ফল গড় করে এবারের এইচএসসির ফল প্রকাশ করা হয়েছে। আগের দুই পাবলিক পরীক্ষাতে জিপিএ-৫ নেই— এমন কয়েক হাজার পরীক্ষার্থী এবার জিপিএ-৫ পেয়েছেন। উল্টো ঘটনাও ঘটেছে আবার। আগের জেএসসি ও এসএসসিতে জিপিএ-৫ পেয়েও এইচএসসিতে জিপিএ-৫ পায়নি ৩৯৬ পরীক্ষার্থী। এ নিয়ে সংশ্লিষ্টদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে।

জানা গেছে, এবারের ‘সাবজেক্ট ম্যাপিং’য়ের কারণেই এমনটি ঘটেছে। ফলে অনেকেই কাঙ্ক্ষিত ফল পাননি। আবার প্রত্যাশার তুলনায় প্রাপ্তির যোগ বেশি ঘটেছে লাখ লাখ শিক্ষার্থীর ক্ষেত্রে। আগের দুটি পরীক্ষার চতুর্থ বিষয়ের নম্বর যোগ হয়ে ৮০ থেকে ৮৫ নম্বরের কাছাকাছি (মার্জিনাল লাইন) থাকা শিক্ষার্থীরা জিপিএ ৫ পেয়েছিলেন। এবার চতুর্থ বিষয়ের নম্বর যোগ না হওয়ার কারণে এই শিক্ষার্থীদের ভাগ্যের শিকে ছেঁড়েনি।

দেখা গেছে, আগের দুই পাবলিক পরীক্ষায় জিপিএ-৫ থাকলেও অনেকে এবার জিপিএ ৫ বঞ্চিত হয়েছেন। সারাদেশে এমন পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৩৯৬ জন। আবার উল্টোটিও ঘটেছে। আগের দুই পরীক্ষায় পরীক্ষায় জিপিএ-৫ না পেলেও এবারের মূল্যায়নে ১৭ হাজার ৪৩ জন শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছেন।

এ বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি জানান, এইচএসসির ফল তৈরির জন্য সাবজেক্ট ম্যাপিং করায় জেএসসি এবং এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ ৫ পেলেও এবার ৩৯৬ জন জিপিএ-৫ পায়নি। সাবজেক্ট ম্যাপিংয়ের কারণে এমনটি হয়েছে।

তিনি বলেন, যখন ম্যাপিং করা হয়েছে, তখন জিপিএ-৫ এর জন্য যে নম্বর দরকার ছিল, তা তারা পায়নি। আবার বিষয়ভিত্তিক ম্যাপিং করায় অনেকে আগের দুই পরীক্ষায় জিপিএ-৫ না পেলেও এবার সেটি অর্জন করেছে। ফল বিশ্নেষণে দেখা গেছে, জিপিএ ৫ না পাওয়া পরীক্ষার্থীদের মধ্যে বিজ্ঞানের শিক্ষার্থীই বেশি। জেএসসি এবং এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ না পেলেও এবারের ফলাফলে ১৭ হাজার ৪৩ জন জিপিএ-৫ পেয়েছেন বলে জানান শিক্ষামন্ত্রী।

তিনি আরও জানান, জেএসসি ও এসএসসিতে জিপিএ ৫ পেলেও ২০১৭ সালে ১৭ হাজার ৩৭১ জন, ২০১৮ সালে ৫২ হাজার ৬৩৪ জন এবং ২০১৯ সালে ৪৫ হাজার ৮৬৫ জন শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পাননি।

জেএসসি এবং এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ না পেলেও ২০১৭ সালে ৬ হাজার ৯৭৬ জন, ২০১৮ সালে চার হাজার ১৫৭ জন এবং ২০১৯ সালে ৮ হাজার ৫৭০ জন শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছিল বলেও জানান তিনি।


সর্বশেষ সংবাদ