সরকারি স্কুলে প্রতি আসনের বিপরীতে লড়ছে ৭ শিক্ষার্থী

আজিমপুর গালর্স স্কুল এন্ড কলেজের ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী রাদিয়া আনহু তানহা আনুষ্ঠানিকভাবে লটারির কার্যক্রম শুরু করে
আজিমপুর গালর্স স্কুল এন্ড কলেজের ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী রাদিয়া আনহু তানহা আনুষ্ঠানিকভাবে লটারির কার্যক্রম শুরু করে  © সংগৃহীত

চলতি বছর দেশের ৩৯০টি সরকারি স্কুলে ৫ লাখ ৭৪ হাজার ৯২৯ জন আবেদনকারী শিক্ষার্থী ভর্তির জন্য আবেদন করেছে। এসব স্কুলে মোট আসন আছে ৭৭ হাজার ১৪০টি। সে হিসাবে প্রতি আসনের জন্য গড়ে ৭ শিক্ষার্থী ভর্তিযুদ্ধে নামছে। সংশ্লিষ্ট স্কুলে স্কুলে ডিজিটাল লটারির মাধ্যমে এসব শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে।

সোমবার (১১ জানুয়ারি) বিকেলে কেন্দ্রীয়ভাবে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে এ লটারি কার্যক্রম উদ্বোধনকালে এসব তথ্য জানায় শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। এর আগে রাজধানীর আজিমপুর গালর্স স্কুল এন্ড কলেজের ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী রাদিয়া আনহু তানহা আনুষ্ঠানিকভাবে লটারির কার্যক্রম শুরু করে।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, কোভিড-১৯ মহামারীর কারণে এক কঠিন পরিস্থিতি অতিক্রম করছে। তাই কোমলমতি শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার স্বার্থে গত বছরের মার্চ মাস থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়েছে। কিন্তু শিক্ষার্থীরা যাতে শিক্ষণ-শিখন কাজ থেকে বঞ্চিত না হয় তার জন্য আমরা সংসদ টিভির মাধ্যমে দূর শিক্ষণ, অনলাইন পাঠদান এবং এসাইনমেন্টভিত্তিক শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করেছি যা খুবই সফল ও প্রশংসিত হয়েছে বলে মাঠ পর্যায় থেকে জানতে পেরেছি। স্কুলগুলোতে যেহেতু বার্ষিক পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব হয়নি সেহেতু সরকারিভাবে আমরা এ বছর লটারির মাধ্যমে প্রথম শ্রেণি থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থী ভর্তির সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

তিনি বলেন, এ প্রক্রিয়ায় বেসরকারি স্কুলগুলো এবং সম্প্রতি জাতীয়করণকৃত অনেক স্কুল স্থানীয়ভাবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ভর্তি নীতিমালা অনুসরণ করে ভর্তির কাজ লটারির মাধ্যমে সম্পন্ন করছে। আর ৩৯০টি সরকারি স্কুলে ৫ লাখ ৭৪ হাজার ৯২৯ জন আবেদনকারি ভর্তিচ্ছুকদের মধ্য থেকে সারাদেশে মোট ৭৭ হাজার ১৪০ টি শূন্য আসনের বিপরীতে ডিজিটাল লটারির মাধ্যমে আজ ভর্তি নির্বাচন করার জন্য আমরা এখানে সমবেত হয়েছি।

তিনি আরও বলেন, এ প্রক্রিয়ার একটি ভাল দিক হলো সকল স্কুলে এবার নানা ধরণের মেধা সম্পন্ন শিক্ষার্থীরা ভর্তির সুযোগ পাবে। এ ডিজিটাল লটারির সার্বিক কারিগরি সহায়তার কাজ করেছে টেলিটক বাংলাদেশ এবং টেলিটকের সফট্ওয়্যার এর যথার্থতা যাচাই বাছাই করেছে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল। আমি তাঁদেরকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই।

অনুষ্ঠানে শিক্ষা সচিব মোঃ মাহবুব হোসেন ও মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরের (মাউশি) মহাপরিচালক প্রফেসর ড. সৈয়দ মো. গোলাম ফারুক বক্তব্যে দেন।


সর্বশেষ সংবাদ