করোনাকালে শিক্ষার্থী ভর্তি কীভাবে, এখনও জানে না বেসরকারি বিদ্যালয়

বেসরকারি বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী ভর্তির ব্যাপারে এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি
বেসরকারি বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী ভর্তির ব্যাপারে এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি  © ফাইল ফটো

করোনাভাইরাসের কারণে প্রায় সাত মাস বন্ধ রয়েছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, সর্বশেষ ছুটি বাড়ানো হয়েছে আগামী ১৯ নভেম্বর পর্যন্ত। এ অবস্থায় সরকারি-বেসরকারি সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আগামী বছরের জন্য শিক্ষার্থী কীভাবে ভর্তি করা হবে তা নিয়ে তৈরি হয়েছে অনিশ্চয়তা। অবশ্য ঢাকা মহানগরীর সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোয় শিক্ষার্থী ভর্তিতে দুটি বিকল্প প্রস্তাব দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)। তবে আলোচনায় নেই বেসরকারি বিদ্যালয়গুলোর ভর্তি পরীক্ষা।

সূত্র জানিয়েছে, প্রতি বছর সরকারি ও বেসরকারি বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী ভর্তি করতে দু’ধরনের নীতিমালা করে সরকার। এরমধ্যে ইতোমধ্যে সরকারি বিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য দুটি প্রস্তাব দিয়েছে মাউশি। তবে বেসরকারি বিদ্যালয়ে ভর্তির বিষয়ে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত বা প্রস্তাবনা দেয়া হয়নি। এখন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় রয়েছে বেসরকারি বিদ্যালয়গুলোর কর্তৃপক্ষ।

করোনা পরিস্থিতিতে সরকারের নির্দেশনা মোতাবেক ভর্তি প্রক্রিয়া শেষ হবে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন। এ বিষয়ে মাউশির এক কর্মকর্তা জানান, করোনার কারণে সরকারি বিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা না হলে বেসরকারি বিদ্যালয়েও হবে না। তখন বেসরকারি বিদ্যালয়গুলোতেও লটারির মাধ্যমেই শিক্ষার্থী ভর্তি হতে পারে। তবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করছে সবকিছু।

প্রতিবছর নভেম্বরে পদ্ধতি ঠিক করে ডিসেম্বরে আবেদন শুরু হয়। এরপর পরীক্ষা শেষে ডিসেম্বরে ভর্তির কাজ শেষ করা হয়। সরকারি ও বেসরকারি বিদ্যালয়ে কাছাকাছি সময়েই এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। তবে এবার করোনার কারণে তা আর সম্ভব হচ্ছে না। এ কারণে শিক্ষার্থীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করে স্বাস্থ্যবিধি মেনে পরীক্ষা নেয়ার বিষয়ে চলছে আলোচনা। সে পরিকল্পনা সামনে রেখেই সংশ্লিষ্টরা কাজ করছেন।

জানা গেছে, বর্তমানে স্কুলগুলোয় প্রথম শ্রেণিতে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হয় লটারির মাধ্যমে। তবে  দ্বিতীয় থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পরীক্ষার মাধ্যমে ভর্তি হয়। আর নবম শ্রেণিতে ভর্তি করা হয় জেএসসি ও জেডিসির ফলের ভিত্তিতে। তবে করোনার কারণে এবার জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষা হয়নি। ফলে এবার বিকল্প উপায়ে ভর্তি করা হবে। এ অবস্থায় মাউশি দুই প্রস্তাব দিয়েছে।

সূত্র জানায়, মাউশির শিক্ষার্থী ভর্তির প্রথম প্রস্তাবে সব শ্রেণিতেই লটারির মাধ্যমে ভর্তি করার কথা বলা হয়েছে। এতে শিক্ষার্থীদের করোনা পরিস্থিতির মধ্যে ঝুকি নিয়ে সরাসরি পরীক্ষা বসতে হবে না। অপর প্রস্তাবে বলা হয়েছে, সব বিদ্যালয়ে ৯ দিনে পরীক্ষা নেওয়া। এতে বিদ্যায়গুলোকে মোট ৩৮টি পরীক্ষা দিতে হবে। আগে স্বাভাবিক সময়ে এ ভর্তি পরীক্ষা হতো তিন দিনে। এ সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হলে বহুনির্বাচনী প্রশ্নে বা এমসিকিউ নিয়মে পরীক্ষা হবে।

এ বিষয়ে মাউশির উপপরিচালক মো. এনামুল হক হাওলাদার গণমাধ্যমকে বলেছেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কাছে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। এখন তারা ঠিক করবে, কীভাবে ভর্তি হবে। আর শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, ভর্তির বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত শিগগিরই জানানো হবে। এখন মাউশির প্রস্তাব নিয়ে কাজ চলছে।


সর্বশেষ সংবাদ