পিএসসি-জেএসসির ভিত্তিতে এসএসসির ফল দাবি
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১০ নভেম্বর ২০২০, ০৩:২৮ PM , আপডেট: ১০ নভেম্বর ২০২০, ০৪:৫০ PM
করোনার ভ্যাকসিন না আসা পর্যন্ত স্কুল না খোলা, পিএসসি-জেএসসির ভিত্তিতে এসএসসি পরীক্ষার ফলাফল দেয়াসহ ৬ দফা দাবিতে আগামী শুক্রবার (১৩ নভেম্বর) সারা দেশব্যাপী মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে এবারের এসএসসি পরীক্ষার্থীরা। বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যে ফেসবুক গ্রুপের মাধ্যমে তারা ভার্চুয়ালি একত্রিত হচ্ছেন।
আজ মঙ্গলবার (১০ নভেম্বর) এই আন্দোলনের আহবায়ক ও মুন্সীগঞ্জ ইসলামপুর কামিল মাদ্রাসার ছাত্র মো. মাহবুবুর রহমান দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে শুক্রবার সকাল ১১টায় এ কর্মসূচির শুরু করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
এ ব্যাপারে সিরাজগঞ্জ রোড চৌরাস্তা উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও ফেসবুক গ্রুপের এডমিন তানভীর আহমেদ হৃদয় বলেন, করোনার মধ্যে এসএসসি ও দাখিল পরীক্ষা বাতিলের দাবিতে আগামী শুক্রবার সারাদেশে শান্তিপূর্ণ মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালিত হবে। রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে থেকে সকাল ১১টায় এ কর্মসূচি শুরু করা হবে।
তিনি আরও বলেন, আমরা করোনাভাইরাসের মধ্যে পরীক্ষা দিতে চাই না। করোনার ভয় যতদিন আছে ততদিন আমাদের এ একটাই দাবি থাকবে। তারপরও যদি আমাদের পরীক্ষা নিতেই হয়; তাহলে যেন ক্লাস নাইনে আমাদের যে সিলেবাস ছিল তার উপর প্রশ্ন করা হয়। কারণ আমরা ক্লাস টেনে গিয়ে কোন ক্লাস পাইনি। সুতরাং সে সিলেবাসের প্রশ্ন আমাদের সঙ্গে যাবে না।
এর আগেও গত বৃহস্পতিবার (৫ নভেম্বর) একই দাবিতে রাজধানীসহ দেশের একাধিক জেলায় মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালিত হয়েছে। কর্মসূচি থেকে পরীক্ষার্থীরা ৬টি লিখিত দাবি জানিয়েছেন। দাবিগুলো হল-
১) করোনা ভ্যাকসিন না আসা পর্যন্ত স্কুল খোলা যাবে না।
২) করোনা চলাকালীন কোনো ধরনের পরীক্ষা (স্কুলের বার্ষিক পরীক্ষা, টেস্ট পরীক্ষা ও এসএসসি পরীক্ষা) নেওয়া যাবে না।
৩) আমাদের স্কুল কার্যক্রম ৮ মাস বন্ধ ছিলো, তাই এই ৮ মাসের ক্ষতিপূরণ হিসাবে আমাদের এসএসসি পরীক্ষা ৮ মাস পেছাতে হবে।
৪) পরীক্ষার ৮ মাস পেছানো হলে তার জন্য সেশন জট সৃষ্টি হবে, এর ফলে আমাদের জীবন থেকে পরবর্তী ১ বছর শেষ হয়ে যাবে। তাই আমাদের এই সেশন জটের ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।
৫) যদি উপোরোক্ত দাবি না মেনে জোরপূর্বকভাবে করোনা চলাকালীন সময়ে এসএসসি পরীক্ষা নেওয়া হয় এবং পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে যদি কেউ কভিড-১৯ পজিটিভ হয়, তাহলে সেই ছাত্রের দায়ভার সরকারকে নিতে হবে।
৬. যদি এসএসসি পরীক্ষা না নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়, তাহলে আমাদের পিএসসি ও জেএসসি পরীক্ষার রেজাল্টের উপর ভিত্তি করে অটোপ্রমোশন দিতে হবে।
শিক্ষার্থীরা জানান, তারা কোনোভাবেই করোনা চলাকালীন সময়ে এবং করোনার ভ্যাকসিন না আসা পর্যন্ত পরীক্ষা দিতে এবং স্কুল যেতে রাজি নয়। বোর্ড পরীক্ষার থেকে তাদের জীবন অনেক মূল্যবান। তাই তারা এইচএসসির মত তাদেরও অটোপ্রমোশন দেয়ার জন্য সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছেন।
এদিকে, এসএসসি পরীক্ষার নির্দিষ্ট সময় পরিবর্তন, বাতিল কিংবা অটোপ্রমোশন কোন কিছু নিয়ে এখনো ভাবা হয়নি বলে দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে নিশ্চিত করেছেন আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাব-কমিটির সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মু. জিয়াউল হক।
আজ মঙ্গলবার তিনি বলেন, সময় অনুযায়ী প্রতিবছর ফেব্রুয়ারি মাসে এসএসসি পরীক্ষা শুরু হয়ে আসছিল। এ বছর করোনাভাইরাসের মধ্যে সে নিয়য়েই এখন পর্যন্ত বহাল রয়েছে। এসএসসি পরীক্ষার আগের সময় পরিবর্তন হবে কিনা- এখন পর্যন্ত এটা নিয়ে কোন কিছু ভাবা হয়নি। সময় হলে কর্তৃপক্ষ বিষয়টি আরও পরিষ্কার করবেন বলে জানান তিনি।