থাকছে না মুখস্থনির্ভর পরীক্ষা পদ্ধতি

পরীক্ষা দিচ্ছেন শিক্ষার্থীরা
পরীক্ষা দিচ্ছেন শিক্ষার্থীরা  © ফাইল ফটো

বদলে যাচ্ছে পরীক্ষার পদ্ধতি ও ধরন, আসছে স্থায়ী মূল্যায়ন পদ্ধতি। মূলত মুখস্থ ও সনদ নির্ভর পরীক্ষা বাদ দিতেই এই উদ্যোগ নিতে যাচ্ছে সরকার। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আগামীর শিক্ষা হবে সুনির্দিষ্ট। এখানে একজন শিক্ষক কী পড়াল সেটা মুখ্য বিষয় নয়, বরং শিক্ষার্থী কী জানল- শিখল সেটাই বিবেচ্য বিষয়। মূলত শিক্ষার্থীদের শ্রেণি মূল্যায়নের মাধ্যমে প্রতিটি শিক্ষার্থীকে দক্ষ ও যোগ্য করে তুলতেই পরীক্ষা ব্যবস্থায় পরিবর্তন আনা হচ্ছে।

শিক্ষাবিদরা বলছেন, শিক্ষাব্যবস্থা উদ্দেশ্য হওয়া উচিত আউটকাম বেজড। অর্থ্যাৎ একজন শিক্ষার্থী ১০০ নম্বরের মধ্যে ৪০ শতাংশ নম্বর পেল। এখানে তার নম্বরটি গুরুত্বপূর্ণ নয়, বরং কী শিখে ছাত্রটি ৪০ শতাংশ নম্বর পেল, সেটাই মূল উদ্দেশ্য উচিত।

মাধ্যমিকের বার্ষিক পরীক্ষার বিষয়ে বুধবার দুপুরে ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এসব বিষয়ে ইঙ্গিত দিয়েছেন শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। এ সময় শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনিও যুক্ত ছিলেন।

উপমন্ত্রী বলেন, ন্যাশনাল এক্সামিনেশন অ্যান্ড এসেসমেন্ট সেন্টার প্রতিবেশী দেশগুলোতেও হয়ে গেছে। আমাদের জাতীয় পরীক্ষা ও মূল্যায়ন কেন্দ্র করার বিষয়টি পরিকল্পনাধীন রয়েছে। মূল্যায়ন নিয়ে যে কাজগুলো হয়েছে, এর ধারাবাহিকতায় একটি আইনি সংস্থা তৈরি করারও পরিকল্পনা রয়েছে। পরীক্ষা ব্যবস্থায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনার জন্য গবেষণা করে এ পরিবর্তন আনার কোনো বিকল্প নেই। গতানুগতিক পরীক্ষা ব্যবস্থা থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবেই।

শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, আমরা উন্নত বিশ্বের কথা বলি, উন্নত দেশ হতে চাই। উন্নত বিশ্বের অংশ হতে চাই। আবার উন্নত বিশ্বের যে শিক্ষা ব্যবস্থা সেখানে কিন্তু প্রত্যেক ক্লাসে গ্রেডিং পরীক্ষা পাস, ফেল, জিপিএ-৫ এ ধরনের উন্মাদনা নেই।

আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নত দিকে যেতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বছরের শেষে বছরের মাঝখানে পরীক্ষা নিয়েই যে সেটি মূল্যায়ন করা যায়, তা নয়। আরও অনেক ধরনের মূল্যায়নের পদ্ধতি রয়েছে। আমরা ধারাবাহিক মূল্যায়নের যে পদ্ধতিগুলো রয়েছে সেগুলোতে যেতে চাচ্ছি।

ডা. দীপু মনি আরও বলেন, প্রত্যেক শিক্ষার্থীর কোথায় কোথায় দুর্বলতা আছে, আমরা সেগুলো চিহ্নিত করে দুর্বলতা দূর করতে চাই। আমরা পরীক্ষা ভীতি, পরীক্ষার চাপ, শারীরিক মানসিক চাপ চাই না। আনন্দের মধ্য দিয়ে শিক্ষার্থীরা জ্ঞানার্জন করবে, দক্ষতা অর্জন করবে, সুযোগ্য নাগরিক হবে। তাই সনদ ও শুধুমাত্র পরীক্ষানির্ভর শিক্ষা থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে।


সর্বশেষ সংবাদ