মাধ্যমিকে ‘অটোপাস’ দেয়া হবে না: মাউশি
করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে গত ১৭ মার্চ থেকে বন্ধ রয়েছে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে সংসদ টেলিভিশনের মাধ্যমে পাঠদান অব্যাহত রেখেছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)। এই পাঠদানের উপর মূল্যায়ন করেই পরবর্তী শ্রেণিতে শিক্ষার্থীদের প্রমোশন দিতে চায় মাউশি। ছাত্র-ছাত্রীদের অটোপাস দেয়া হবে না বলে অধিদপ্তরের একাধিক কর্মকর্তা জানিয়েছেন।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে মাউশির মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. এসএম গোলাম ফারুক বলেন, মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের অটোপাস দেয়া হচ্ছে না। আমাদের শিক্ষার্থীদের লেখাপড়া থেমে নেই। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের পর থেকেই শ্রেণিকাজ, টেলিভিশন ও অনলাইনে পাঠদান অব্যাহত রয়েছে। এই বিষয়গুলো সহ অন্যান্য দিক বিবেচনায় নিয়ে তাদের মূল্যায়ন করা হবে। মূল্যায়নের মাধ্যমেই নতুন শ্রেণিতে প্রমোশন দেয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে করা এক গবেষণায় দেখা গেছে, মাধ্যমিক পর্যায়ের প্রায় ৯৩ শতাংশ ছাত্র-ছাত্রী সংসদ টেলিভিশনের মাধ্যমে পাঠদান পেয়েছে। এই অবস্থায় অটোপাস দেয়ার কোনো সুযোগ নেই।
তথ্যমতে, মাধ্যমিকে মূল্যায়নের জন্য জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) পরিকল্পনা তৈরি করছে। দুই নীতি সামনে রাখা হচ্ছে। একটি হচ্ছে বছরের অবশিষ্ট সময় বিবেচনায় নিয়ে যতটুকু বিষয়ের ওপর অ্যাসাইনমেন্ট বা বাড়ির কাজ দেয়া যায় সেটা রাখা হবে।
অপরটি হচ্ছে, যা বাকি থাকবে এবং পরের বছরের জন্য অপরিহার্য। সেটা পরের ক্লাসে নেয়া হবে। আগামী বছর পাঠদানের আগে শিক্ষক সেটি পড়িয়ে নেবেন। এই পরিকল্পনা আগামী সপ্তাহের মধ্যে প্রণয়ন শেষে স্কুল শিক্ষকদের কাছে পাঠানো হবে। এতেই এ বছরের জন্য নির্ধারিত অংশ অ্যাসাইনমেন্টের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে আদায়ের নির্দেশনা থাকছে। এরপর অ্যাসাইনমেন্টে নম্বর দিয়ে শিক্ষার্থী মূল্যায়নের পাশাপাশি নতুন ক্লাসে তার রোল নম্বরও নির্ধারণ করা হতে পারে।
প্রসঙ্গত, করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে গত ১৭ মার্চ থেকে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। কয়েক দফায় ছুটি বাড়িয়ে তা আগামী ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছে। তবে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় এই ছুটি আরও বাড়বে বলে মনে করছেন শিক্ষাসংশ্লিষ্টরা।