দুই বছর ধরে ছাত্রীর বৃত্তির টাকা তুলছেন বিকাশ এজেন্ট
মাগুরা সদর উপজেলার কুল্লিয়া গ্রামে দীর্ঘ দুই বছর ধরে প্রতারণার মাধ্যমে ছাত্রীর উপবৃত্তির টাকা তুলে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে এক বিকাশ এজেন্টের বিরুদ্ধে। এ ঘটনার ভুক্তভোগী মোছা. পায়েল খাতুন কুল্লিয়া কুচিয়ামোড়া সৈয়দ আতর আলী উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী।
অভিযুক্ত বিকাশ এজেন্টে অনুজ রায় একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক। বর্তমানে হত্যা মামলায় সাময়িক বহিস্কৃত রয়েছেন তিনি। দীর্ঘদিন ধরে তার বিরুদ্ধে বিকাশ ও ডাচ বাংলা এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের নামে গ্রামের সহজ সরল মানুষকে প্রতারিত করার অভিযোগ রয়েছে।
জানা যায়, শিক্ষার্থী পায়েল খাতুন সপ্তম শ্রেণিতে থাকা অবস্থায় উপবৃত্তির জন্য মনোনীত হয়। ওই সময় পায়েল ও তার মা বৃত্তির টাকা মোবাইলে পেতে স্কুল কর্তৃপক্ষের নির্দেশে কুল্লিয়া বাজারের বিকাশ এজেন্ট অনুজ রায়ের কাছে যায়। বিকাশ এজেন্ট অনুজ রায় একাউন্ট খোলার কথা বলে তাদের কাছ থেকে ভোটার আইডি কার্ডের ফটোকপি, ছবি ও মোবাইল নম্বর দেন। পরবর্তীতে একাউন্ট না খুলে অনুজ রায় তার নিজের বিকাশ একাউন্ট নম্বর স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে জমা দেয়। এরপর থেকে দীর্ঘ দুই বছর ধরে পায়েলের নামে আসা বৃত্তির টাকা অনুজ রায় কৌশলে উঠিয়ে নিচ্ছিলেন।
কিছুদিন আগে পায়েলের পরিবার স্কুলের অফিস সহায়ক নাজমুল হাসানের মাধ্যমে জানতে পারে পায়েলের নামে নিয়মিত বৃত্তির টাকা আসছে। বিষয়টি তাদের সন্দেহ হলে স্কুলের উপবৃত্তির রেজিস্ট্রেশন খাতায় থাকা নম্বরে ফোন দিলে ফোনটি অনুজ রায়ের দোকানের সহকারী রকি রিসিভ করে। পরে বিষয়টি জানাজানি হয়।
শিক্ষার্থীর বাবা উজ্জ্বল মোল্যা বলেন, কয়েকদিন আগে জানতে পারি সে নিয়মিত উপবৃত্তির টাকা পাচ্ছে। এর আগে টা জানতাম না। পরে স্কুল থেকে ওই একাউন্ট নম্বর নিয়ে জানতে পারলাম অনুজ রায় দীর্ঘ দুই বছর ধরে আমার মেয়ের বৃত্তির টাকা তুলে নিচ্ছে। আমি তার কাছে এ সম্পর্কে জানতে চাইলে সে আমাকে হুমকি দেয় ও দুর্ব্যবহার করে। আমি এই প্রতারকের বিচার চাই।
অভিযুক্ত বিকাশ এজেন্ট অনুজ রায় জানান, বিষয়টি মিমাংসা হয়ে গেছে। অধ্যক্ষের সঙ্গে কথা বলেন।
এ বিষয়ে কুল্লিায়া কুচিয়ামোড়া সৈয়দ আতর আলী উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ বাহারুল ইসলাম বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় আপাতত কোনো প্রদক্ষেপ গ্রহণ করা যাচ্ছে না। তবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চালু হলে স্কুল পরিচালনা কমিটির সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি সমাধান করা হবে।