পরীক্ষার্থীর মাথায় ক্লিপবোর্ডে ছুড়ে বহিষ্কৃত হলেন শিক্ষক
মাদারীপুরে এসএসসি পরীক্ষার কেন্দ্রে ক্লিপবোর্ড ছুড়ে এক শিক্ষার্থীকে আহত করার ঘটনায় দায়িত্বরত শিক্ষক আবুল হোসেনকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে। সোমবার মাদারীপুর শহরের আচমত আলী খান পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে।
আহত রাকিবুল মৃধা মাদারীপুর পৌর শহরের ইউনাইটেড ইসলামিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। আর অভিযুক্ত শিক্ষকের নাম আবুল হোসেন। তিনি আছমত আলী খান পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের খণ্ডকালীন ইংরেজি শিক্ষক। এই ঘটনার পর ওই কেন্দ্রে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে।
আহত পরীক্ষার্থীর সহপাঠীরা জানায়, সোমবার সকালে ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং পরীক্ষা দিতে কেন্দ্রে যায় শিক্ষার্থী রাকিবুল মৃধা। পরীক্ষা শুরুর আগে তাকে ওএমআর শিট দেওয়া হয়। ওএমআর পূরণে দেরি করায় ওই শিক্ষার্থীর খাতায় স্বাক্ষর করতে অপারগতা প্রকাশ করেন দায়িত্বরত শিক্ষক আবুল হোসেন।
এরপর শিক্ষার্থীর ওপর ক্ষুব্ধ হয়ে তার দিকে ক্লিপবোর্ড ছুড়ে মারেন। ক্লিপবোর্ডটি শিক্ষার্থীর মাথায় লাগলে আহত হয় সে। এ সময় কেন্দ্রের বাকি শিক্ষার্থীরা প্রতিবাদ জানায়। খবর পেয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রাথমিকভাবে ওই শিক্ষার্থীর চিকিৎসার ব্যবস্থা দিলে নির্ধারিত সময়ের ১০ মিনিট পরে পরীক্ষা শুরু হয়।
আহত পরীক্ষার্থী রাকিবুল মৃধা বলেন, ‘ওই স্যার অকারণে আমার ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে যান। এর আগের পরীক্ষাগুলোতেও তিনি পরীক্ষার্থীদের সঙ্গে বাজে ভাষায় কথা বলেছিলেন।’
আচমত আলী খান পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রধান শিক্ষক ও ওই কেন্দ্রের কেন্দ্র সচিব হুমায়ুন কবীর বলেন, ‘আহত ওই পরীক্ষার্থী ইউনাইটেড ইসলামিয়া সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের বাণিজ্য বিভাগের শিক্ষার্থী। একটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটায় মানবিক দিক বিবেচনা করে নির্ধারিত সময়ের চেয়ে ১০ মিনিট বেশি সময় দেওয়া হয়। তিনি যে কাজটা করেছেন তা সত্যিই দুঃখজনক। এ ধরনের কাজের জন্য আমরা তাঁকে পরীক্ষার সব ধরনের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিয়েছি এবং আজীবনের জন্য বহিষ্কার করেছি।’
মাদারীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বদরুল আলম মোল্লা বলেন, ‘খবর পেয়ে আমরা ওই কেন্দ্রে গিয়ে পরীক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলি। আহত শিক্ষার্থীর পরিবার থানায় অভিযোগ দিলে অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আর অভিযোগ না দিলেও আমরা ওই শিক্ষককে মৌখিকভাবে তলব করেছি। ওই শিক্ষকের কাছে এ ঘটনার ব্যাখ্যাও জানতে চেয়েছি।’