এসএসসি পরীক্ষার্থীদের কেন্দ্র ভাংচুরের ঘটনায় সচিবকে অব্যাহতি
এসএসসির গণিত পরীক্ষায় ক্যালকুলেটর ব্যবহার করতে না দেয়ার প্রতিবাদে মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার দুই কেন্দ্রে বিক্ষোভ ও ভাঙচুর করেছে পরীক্ষার্থীরা। এ ঘটনায় এসএসসি পরীক্ষার কেন্দ্র সচিব মো. রফিকুল ইসলাম ও সহকারী কেন্দ্র সচিব মো. হারুন-অর-রশিদকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।
তাদের স্থলে পাচ্চর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শামসুল আলমকে কেন্দ্র সচিব এবং পাচ্চর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাহ আলম সিরাজীকে সহকারী সচিব হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়।
এ ঘটনায় উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বিশ্বজিৎ রায়কে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়েছে। কমিটির বাকি দুই সদস্য হলেন- উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার রফিকুল ইসলাম ও শিক্ষক প্রতিনিধি উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি শামসুল আলম। তিন কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত কমিটিকে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে রিপোর্ট প্রদান করার নির্দেশ দেয়া হয়। উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও এসএসসি পরীক্ষা কমিটির সভাপতি মো. আসাদুজ্জামান এমন নির্দেশনা দেন।
এদিকে, শিবচরের নন্দকুমার মডেল ইনস্টিটিউশন ও শেখ ফজিলাতুন্নেছা সরকারি পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে বিক্ষোভ ও ব্যাপক ভাঙচুরের ঘটনায় দুই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মামলা দায়ের করতে পারেন বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
শিবচর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও এসএসসি পরীক্ষা কমিটির সভাপতি মো. আসাদুজ্জামান জানান, শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ ও ভাঙচুরের ঘটনায় এসএসসি পরীক্ষার কেন্দ্র সচিব মো. রফিকুল ইসলাম ও সহকারী কেন্দ্র সচিব মো. হারুন-অর-রশিদকে অব্যাহতি প্রদান করা হয়েছে। এছাড়া ওই ঘটনায় তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত এসএসসি পরীক্ষার গণিত বিষয়ে ক্যালকুলেটর ব্যবহার করতে না দেয়ায় বুধবার তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ের পরীক্ষা শেষ করে প্রথমে শিবচর নন্দ কুমার মডেল ইনস্টিটিউশন ভেন্যুতে ব্যাপক ভাঙচুর করেন শিক্ষার্থীরা। এ খবর দ্রুত শেখ ফজিলাতুন্নেছা সরকারি পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ভেন্যুতে পৌঁছালে সেখানেও ভাঙচুর করে বিক্ষুদ্ধ শিক্ষার্থীরা।
বিক্ষুদ্ধ শিক্ষার্থীরা প্রায় এক ঘণ্টাব্যাপী ভাঙচুর চালায়। দুটি বিদ্যালয়ের ভবনের দরজা, জানালা, চেয়ার-টেবিল ও আসবাবপত্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়। আহতদের শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হয়।