এনটিআরসিএ সনদ ছাড়াই শিক্ষক নিয়োগ
বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) সনদ ছাড়াই শিক্ষক নিয়োগের অভিযোগ উঠেছে রাজধানীর উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুল অ্যান্ড কলেজের বিরুদ্ধে। গত জুলাই মাসে ২২ জন শিক্ষক নিয়োগ দেয় স্কুল কর্তৃপক্ষ। এর মধ্যে কারোরই এনটিআরসিএর সনদ নেই।
বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নিয়োগ বিধিমালা অনুযায়ী, মাধ্যমিকের শিক্ষকদের স্নাতক পাস হতে হবে এবং বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) সনদ থাকতে হবে। কিন্তু গত জুলাইয়ে উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুল অ্যান্ড কলেজে নিয়োগ পাওয়া কারোরই এনটিআরসিএর সনদ নেই। এমনকি তাঁদের মধ্যে চারজন শিক্ষক রয়েছেন, যাদের শিক্ষাগত যোগ্যতা উচ্চ মাধ্যমিক পর্যন্ত। অভিযোগ রয়েছে, আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমে এসব নিয়োগ দিয়েছে স্কুল কর্তৃপক্ষ।
গত ২১ অক্টোবর নিয়োগে অনিয়মসহ বেশকিছু বিষয়ে ব্যাখ্যা চেয়ে উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুল অ্যান্ড কলেজের সভাপতিকে চিঠি দিয়েছে ঢাকা শিক্ষা বোর্ড। বোর্ডের কলেজ পরিদর্শক অধ্যাপক ড. মো. হারুন-অর-রশিদ ঢাকা জেলা শিক্ষা অফিসারের এক তদন্তের পরিপ্রেক্ষিতে এ চিঠি দেয়। কলেজ পরিদর্শক স্বাক্ষরিত চিঠিতে অনিয়মতান্ত্রিক নিয়োগ ও দায়িত্ব দেওয়া বন্ধ এবং সরকারি বিধি অনুসরণ করে জরুরি ভিত্তিতে অধ্যক্ষের শূন্য পদ পূরণ করতে বলা হয়।
ঢাকা জেলা শিক্ষা অফিসের তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, এই প্রতিষ্ঠানপ্রধানের সৃষ্ট-অনুমোদিত পদ, প্রয়োজনীয় শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের কাম্য যোগ্যতা না থাকা সত্ত্বেও জনবল কাঠামোর বাইরে অপ্রয়োজনীয় অনেক শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব বিধি মোতাবেক দেওয়া হয়নি। পদোন্নতির বিধান না থাকলেও অনিয়মতান্ত্রিকভাবে সহকারী শিক্ষক পদ থেকে প্রভাষক পদে, প্রভাষক পদ থেকে সহকারী অধ্যাপক পদে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে। এরফলে প্রতিষ্ঠানটির আর্থিক ক্ষতি হচ্ছে।
এছাড়া নিয়োগে অনিয়মসহ ১৯টি অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর থেকেও এই প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে একটি তদন্ত চলমান রয়েছে।
অভিযোগ বিষয়ে জানতে চাইলে গভর্নিং বডির সভাপতি আরিফুর রহমান টিটু বলেন, ‘আমাদের স্কুলটি ভিন্ন ধরনের। ইংলিশ মিডিয়ামই বেশি। তাই এখানে শিক্ষক নিয়োগে এনটিআরসিএ সনদের প্রয়োজন নেই।’