১০ ডিসেম্বর ২০১৯, ১৭:৫৪

স্কুলে শিক্ষার্থীদের মোবাইল ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা, সতর্ক করা হল শিক্ষকদের

  © প্রতীকী

স্কুল চত্বরে শিক্ষার্থীদের মোবাইল ব্যবহারের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে ভারতের শিক্ষা দফতর। এখন থেকে ছাত্রছাত্রীরা স্কুলে মোবাইল আনতে পারবে না। এর পাশাপাশি শিক্ষকদের মোবাইল ব্যবহারেও বেশ কিছু শর্ত দেওয়া হয়েছে। ২০২০ সালের জানুয়ারি থেকে এই নিয়ম চালু হবে।

স্কুলে ছাত্রছাত্রীদের মোবাইল-স্মার্টফোন ব্যবহার নিয়ে শিক্ষামহলে নানান বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। ক্লাস চলাকালীন শিক্ষক-শিক্ষিকাদের ফোনে কথা বলার বিষয়টি পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের একাংশ এবং অভিভাবকদের মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার করেছে। তাদের অভিযোগ, স্কুলে মোবাইল ব্যবহারের কারণে পড়াশোনায় অমনোযোগী হয়ে পড়ছে শিক্ষার্থীরা। এজন্য বিষয়টির প্রতি কঠোরতা আরোপ করে এর ক্ষতি মোকাবিলা করে এগোতে চায় শিক্ষা দফতর।

দেশটির শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের অনুমোদন পাওয়ার পরই গত ৯ ডিসেম্বর এ বিষয়ে পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্যদের (শিক্ষা) উপসচিব পার্থ কর্মকারের তরফে নোটিস জারি করা হয়েছে। সরকারি স্কুল, সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুল-সহ পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদের অধীনে সমস্ত স্কুলেই এই নিময় কার্যকর হচ্ছে বলে জানা গেছে।

ভারতের শিক্ষা দফতর থেকে বলা হয়েছে, আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকেই পড়ুয়ারা স্কুল চত্বরে মোবাইল আর ব্যবহার করতে পারবে না। শিক্ষার্থীদের মোবাইলে ব্যবহারের নিষেধাজ্ঞার পাশাপাশি ল্যাবরেটরিতে মোবাইল ব্যবহার থেকে বিরত থাকাতে শিক্ষকদের কাছে অনুরোধ জানানো হয়েছে। ঘন ঘন মোবাইল ব্যবহার একে বারেই নিষেধ করা হয়েছে। যদি কোনও প্রয়োজনে ক্লাসে মোবাইল ব্যবহার করতেই হয়, তা হলে স্কুলের প্রধানশিক্ষকের কাছ থেকে লিখিত অনুমতি নিতে হবে শিক্ষকদের।

একই সঙ্গে শিক্ষক এবং কর্মীদের সময়নিষ্ঠ হওয়ার বিষয়েও নির্দেশনা জারি করেছে শিক্ষা দফতর। নির্দেশনা অনুযায়ী, ১০টা ৪০ থেকে ১০টা ৫০মিনিটের মধ্যে প্রত্যককেই স্কুলের প্রার্থনায় অংশ নিতে হবে। ১০টা ৫০ মিনিটের পরে কেউ স্কুলে ঢুকলে, তা ‘লেট’ হিসাবেই গ্রাহ্য হবে। এছাড়া সকাল ১১টা ৫ মিনিটের পরে স্কুলে ঢুকলে তাঁকে অনুপস্থিত ধরা হবে।

কর্মচারীদের বিরুদ্ধে অনেক সময় অভিযোগ ওঠে যে, স্কুলের সময় শেষ হওয়ার আগে আগেই তারা চলে যান। সে দিকেও নজর দিয়েছে ভারতের শিক্ষা দফতর। এ নিয়ে নির্দেশিকায় বলা হয়, বিকেল সাড়ে ৪টার আগে স্কুল ছাড়া যাবে না। এর পাশাপাশি শিক্ষা দফতরের নিয়ম মেনে ক্লাস নেওয়ার বিষয়েও সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের।