৩০ অক্টোবর ২০১৯, ০৮:৫১

চারকাঠা জমির বিনিময়ে বিদ্যালয়ের কর্মচারী নিয়োগ!

চারকাঠা জমির বিনিময়ে বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী নিয়োগের জন্য আজ বুধবার অনুষ্ঠিত হচ্ছে পাকুড়িয়া স্কুল এন্ড কলেজের স্কুল শাখার দুইজন কর্মচারী পদে চাকরীর লিখিত পরীক্ষা। আর এ পরীক্ষায় ১৪ জন পরীক্ষার্থী অংশ গ্রহণ করবেন বলে জানান বিদ্যালয়ের গর্ভনিং বডির সভাপতি ও লক্ষ্মীকুন্ডা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি জিল্লুর রহমান।

মঙ্গলবার দুপুরে ঈশ্বরদী প্রেসক্লাব মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান। সেসময় উপস্থিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির প্রধান শিক্ষক, গর্ভনিং বডির সদস্য ও সাংবাদিকদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়।

সম্প্রতি পাকুড়িয়া স্কুল এন্ড কলেজে চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী পদের নিয়োগ নিয়ে আদালতে মামলা এবং মামলার বিভিন্ন বিষয় নিয়ে গণমাধ্যমে নেতিবাচক সংবাদ প্রকাশিত হওয়ায় তার প্রতিবাদ জানিয়ে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির গর্ভনিং বডির সভাপতি জিল্লুর রহমান অকপটে শিকার করে বলেন, যার যার চাকুরি চূড়ান্ত হবে তার কাছ থেকে কোনো নগদ টাকা নেয়া হবে না, তারা দুইজন স্কুলের ভবন নির্মাণের জন্য ৪ কাঠা করে জমি কিনে দিবেন।

লিখিত বক্তব্যে জিল্লুর রহমান বলেন, ঈশ্বরদী উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীন ইসলাম তার চাচাতো ভাইকে ওই পদে নিয়োগ দেয়ার জন্য তার কাছ থেকে ৪ লাখ টাকা নিয়ে আমাদের উপর চাপ সৃষ্টি করছেন তাকে নিয়োগ দেয়ার জন্য। এতে আমরা অস্বীকৃতি জানালে সে রশিদুল ইসলাম নামের অপর এক চাকরী প্রার্থীকে দিয়ে নিয়োগ বন্ধের জন্য পাবনার সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে মামলা দায়ের করান।

পরবর্তীতে মামলার বাদি নিজেই তার ভুল বুঝতে পেরে মামলাটি প্রত্যাহার করেন। মূলত তিনিই বিভিন্ন মিথ্যা তথ্য সাজিয়ে সাংবাদিকদের কাছে সরবরাহ করে নেতিবাচক সংবাদ প্রকাশ করে যাচ্ছেন।

সংবাদ সম্মেলনে মামলার বাদী রশিদুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন। তিনি বলেন, স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা শাহীন ইসলাম আমাকে ভুল বুঝিয়ে আদালতে মামলা করতে উৎসাহিত করেছিলেন। কিন্তু আমি আমার ভুল বুঝতে পেরে তা প্রত্যাহার করে নিয়েছি। অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির প্রধান শিক্ষক আব্দুর রহমান, ম্যানেজিং কমিটির সদস্য সিদ্দিকুর রহমান, আমিরুল ইসলাম ও আশরাফুজ্জামান স্বপন উপস্থিত ছিলেন।

নিয়োগ কমিটির সদস্য ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার সেলিম আক্তার জানান, নিয়োগ সক্রান্ত বিষয়ে টাকা নেয়াটা সম্পূর্ণ অবৈধ ও বিধি বহির্ভূত। তবে কেউ চাইলে জমি দান করতে পারেন, তবে নিয়োগ দেয়ার শর্তে জমি লিখে নেয়া যাবে না, এটা অন্যায়।