২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯:৩৯

স্কুলে নিয়োগে প্রতারণার অভিযোগ, লাশ দাফনে বাধা

  © টিডিসি ফটো

পটুয়াখালীর দুমকীতে বুদ্ধি প্রতিবন্ধী স্কুলে নিয়োগ নিয়ে প্রতারণার অভিযোগ থাকায় স্কুলের প্রতিষ্ঠাতার লাশ দাফনে বাধা দেয় শিক্ষক-কর্মচারীরা। এ নিয়ে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। শনিবার (২১ ডিসেম্বর) সকালে স্থানীয় পীরতলা বাজারে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় ও ভুক্তভোগীরা জানায়, ২০১৫ সালে জলিশা বুদ্ধি প্রতিবন্ধী বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা আ. হাকিম খান। সেখানে ৬৭ জন শিক্ষক কর্মচারী নিয়োগও দেন তিনি এবং স্থানীয় কয়েকজনের নিকট থেকে চাকুরির প্রলোভনে ৩৫ শতক জমি বিদ্যালয়ের নামে লিখে নেওয়া হয়। 

বিদ্যালয়টির প্রতিষ্ঠাতা আ. হাকিম খান শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৭টায় নিজ বাড়িতে মারা যান। আজ শনিবার (২১ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদ প্রাঙ্গণে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় তার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। 

জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফনের উদ্দেশ্যে নেয়ার পথে পীরতলা বাজার এলাকায় প্রতারণার অভিযোগ তুলে ওই স্কুলের শিক্ষক-কর্মচারীরা লাশ আটকে দেয়। খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো.শাহীন মাহমুদ  ও উপজেলা বিএনপি'র সাধারণ সম্পাদক মো. সাইফুল আলম মৃধা'র হস্তক্ষেপে লাশ দাফন সম্পন্ন হয়। 

ভুক্তভোগী শিক্ষক মো. আতিক জানান, চাকুরির প্রলোভন দেখিয়ে আমার বাবার কাছ থেকে ২০ শতক জমি লিখে নেওয়া হয়। এমপিওভুক্ত করার আশ্বাস দেখিয়ে দ্রুত ভবন নির্মাণ করতে আমাদের নির্দেশ দিলে আমরা ভবন নির্মাণ করি। তিনি আমাকে একটি স্বাক্ষরযুক্ত ব্ল্যাংক চেক দেন কিন্তু তার হিসাবে কোন টাকা জমা ছিল না। একদিকে জমি দিয়েছি অন্যদিকে ভবন নির্মাণ করে অনেক টাকা ব্যয় করে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি। 

বিদ্যালয়টির জন্য ১০ শতক জমি দিয়েছেন জানিয়ে জলিশা বুদ্ধি প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের খণ্ডকালীন প্রধান শিক্ষক মো. মশিউর রহমান বলেন, স্কুলের প্যাটার্ন অনুযায়ী ৬৭ জন শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগের বিষয়ে প্রয়াত প্রতিষ্ঠাতা সভাপতিই সব জানতেন। 

দুমকী উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. সাইফুল আলম মৃধা জানান, ভুক্তভোগী শিক্ষক-কর্মচারী ও মরহুমের পরিবারের সাথে  উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে। 

দুমকী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শাহীন মাহমুদ জানান,  এ বিষয়ে তার কার্যালয়ে ভুক্তভোগী শিক্ষক-কর্মচারী ও মরহুমের পরিবারের সদস্যদের নিয়ে আলোচনা করে সমস্যার সমাধানের চেষ্টা করা হবে।