নীলফামারী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৭৫তম বর্ষপূর্তি উদযাপন
নবীন-প্রবীণদের মিলনমেলা
- রায়হান কবির, নীলফামারী
- প্রকাশ: ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:১৮ PM , আপডেট: ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:১৮ PM
নীলফামারী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৭৫তম বর্ষপূর্তি (প্লাটিনাম জুবলি) উদযাপন উপলক্ষে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে দিনব্যাপী বসেছিল নবীন-প্রবীণ শিক্ষার্থীদের মিলনমেলা। এই দিন ছিল স্কুলের ৭৫ বছরের দীর্ঘ পথচলার স্মৃতির সাক্ষী। দীর্ঘদিন পর সতীর্থদের পেয়ে অনেকেরই আনন্দাশ্রুতে চোখ ভিজে গিয়েছিল। কেউ সেলফি তুলে রাখলেন পুরোনো সহপাঠীদের সঙ্গে এবং কেউ মঞ্চে উঠে পুরোনো দিনের স্মৃতিচারণা করলেন। দিনটি নানা কর্মসূচিতে ঘিরে ছিল আনন্দময় পরিবেশে।
বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে জাতীয় পতাকা, বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে দিনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ নায়ীরুজ্জামান। এরপর একটি বর্ণাঢ্য র্যালি শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে আবার বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে ফিরে আসে।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ নায়ীরুজ্জামান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোর্শেদ আলম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. সাইদুল ইসলাম, সিভিল সার্জন ডা. হাসিবুর রহমান এবং বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শামীমা হক।
স্মৃতিচারণা পর্বে প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ের সাফল্য, শৈশবের স্মৃতি ও দেশের উন্নয়নে শিক্ষার গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা করেন। তারা নিজেদের সময়ের শিক্ষা ও অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন, নবীন শিক্ষার্থীদের সুশিক্ষিত হয়ে দেশের জন্য কাজ করার গুরুত্ব বোঝান। অনুষ্ঠানে অনেক প্রাক্তন শিক্ষার্থী তাদের সফলতার গল্প শেয়ার করেন, যারা স্কুল জীবন কাটিয়েছেন এই প্রতিষ্ঠানে এবং পরে দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেছেন।
দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে উৎসব মঞ্চে শুরু হয় স্মৃতিচারণা পর্ব। প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা স্কুল জীবনের নানা স্মৃতি তুলে ধরেন, সুশিক্ষা প্রদান ও ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য শিক্ষার মান উন্নয়নের গুরুত্ব তুলে ধরেন। অনুষ্ঠানে রত্নগর্ভা বেগম জুলেখা ইসলাম এবং মিসেস সাবেকুন নাহারকে বিশেষ সম্মাননা দেওয়া হয়। এ ছাড়া ভাষাসৈনিক ফৌজিয়া বেগমকে মরণোত্তর সংবর্ধনা প্রদান করা হয়।
দীর্ঘদিন পর শিক্ষার্থীদের মিলনমেলায় পুরোনো দিনের স্মৃতি ফিরে আসে, যা ছিল নীলফামারী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৭৫তম বর্ষপূর্তি উদযাপনের মূল আকর্ষণ। দিনটি ক্যাম্পাসজুড়ে আনন্দময় পরিবেশে রূপান্তরিত হয়, যেখানে সবাই পুরানো স্মৃতিচারণা করেন, নতুন প্রজন্মের জন্য অনুপ্রেরণার উদাহরণ তৈরি করেন।