এক শিক্ষার্থীর জন্য ৪ শিক্ষক-কর্মচারী, নিয়োগ আরও ৫
বরগুনার আমতলী উপজেলার কলাগাছিয়া হরিদ্রাবাড়ীয়া একতা নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে বর্তমানে তিনজন শিক্ষক ও একজন করণিক কর্মরত আছেন, যারা মাসে প্রায় লাখ টাকা বেতন পান। অথচ, এখানে পড়াশোনা করছে মাত্র একজন শিক্ষার্থী। এছাড়াও বিদ্যালয়টিতে অনিয়ম করে আরও পাঁচজন কর্মচারী নিয়োগ দেওয়া হয়েছে বলে জানা যায়।
জানা গেছে, বিদ্যালয়টিতে শিক্ষার্থী না থাকলেও অনিয়মের মাধ্যমে মোটা অঙ্কে কর্মচারীকে নিয়োগ দেওয়া হয়ে। তবে ওই কর্মচারীরা বিদ্যালয়ে আসেন না। শিক্ষক-কর্মচারীরা মাঝেমধ্যে এসে হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করে চলে যান। কাগজে-কলমে শিক্ষার্থী থাকলেও বাস্তবে মাত্র একজন শিক্ষার্থী ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এলাকাবাসীদের কয়েকজন জানান, শনিবার (১ ডিসেম্বর) একাডেমিক সুপারভাইজার মাহমুদ সেলিম বিদ্যালয়ে আসার আগে শিক্ষকদের নির্দেশ দেন শিক্ষার্থী সংগ্রহ করার জন্য। শিক্ষকেরা অন্য বিদ্যালয় থেকে শিক্ষার্থী নিয়ে আসেন। পরে সুপারভাইজার এসে ওই শিক্ষার্থীদের ছবি তুলে নিয়ে যান। তবে ওই দিন উপস্থিত শিক্ষার্থীরা কেউই এই বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেন না।
বিয়টি নিয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আব্দুল আজিজ নেছারী বলেন, ‘এটা আমার কপাল। যেখানে শিক্ষার্থী নেই, সেখানে আমার কী কথা থাকতে পারে।’
মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের একাডেমিক সুপারভাইজার মাহমুদ সেলিম বলেন, ‘কিছুদিন আগে বিদ্যালয়ে গিয়ে কিছু শিক্ষার্থী পেয়েছিলাম।’ তবে পরীক্ষায় কেন মাত্র একজন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করছে তার সদুত্তর তিনি দিতে পারেননি।
শিক্ষার্থী না থাকার বিষয়ে সহকারী শিক্ষক দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘আশপাশে অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থাকায় ছাত্রছাত্রী পাওয়া মুশকিল। তাই বিদ্যালয়ে কোনো শিক্ষার্থী নেই।’
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. অলি আহাদ বলেন, ‘একাডেমিক সুপারভাইজারকে ওই বিদ্যালয়ে পাঠিয়েছিলাম। কিন্তু তিনি তো এমন অবস্থার কথা বলেননি। খোঁজখবর নিয়ে দ্রুত কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’