০৯ ডিসেম্বর ২০১৮, ২০:০৫

ভিকারুননিসার নাম পরিবর্তন!

  © ফাইল ফটো

ভিকারুননিসা স্কুল অ্যান্ড কলেজের নাম পরিবর্তন করার চিন্তাভাবনা করছেন বলে জানিয়েছেন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. সোহরাব হোসাইন। রবিবার সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সচিব সাংবাদিকদের এ কথা বলেন। তিনি বলেন, স্কুলটির পাকিস্তান আমলের নাম পরিবর্তন নিয়ে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

তিনি জানান, শিক্ষার্থী অরিত্রী আত্মহত্যার পর স্কুলটি সম্পর্কে অভিভাবক-শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে অনেকগুলো অভিযোগ আসছে। এরমধ্যে অন্যতম হল- প্রতিষ্ঠানটির পাকিস্তানি আমলের নাম পরিবর্তন করা। এছাড়া ভর্তি বাণিজ্য, কোচিং, শিক্ষক নিয়োগে স্বজনপ্রীতিসহ আরো বিভিন্ন বিষয়ে অভিযোগ। এগুলো আমলে নিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয় কাজ করছে জানিয়ে তিনি বলেন, ইতোমধ্যে আদালত একটা কমিটি করে দিয়েছেন, আমরাও কমিটি করেছি। প্রতিষ্ঠানটি পরিদর্শনে যাবো আমরা। বিভিন্নভাবে চেষ্টা করবো ছাত্রীদের এ বেসরকারি  শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কল্যাণে কাজ করতে।

এ সময় তিনি বলেন, সকাল থেকে এ বিষয় নিয়ে বসেছিলাম যাতে প্রতিষ্ঠানটি ভালোভাবে চলে, শিক্ষকরা-অভিভাবকেরা সন্তুষ্ট থাকেন, যাতে শিক্ষকরা মর্যাদাবান থাকেন। শিক্ষার্থীরা যাতে প্রকৃত নাগরিক হয়ে গড়ে উঠতে পারেন সেজন্য আমাদের সব প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবো।

গত ৩ ডিসেম্বর আনুমানিক বেলা সাড়ে ১২টার দিকে অরিত্রী অধিকারীর (১৫) ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়। পরীক্ষার হলে মোবাইল ফোন নিয়ে যাওয়ার কারণে তার বিরুদ্ধে নকল করার অভিযোগ আনেন সংশ্লিষ্ট শিক্ষিকারা। তারা তার বাবা-মাকে ডেকে প্রতিষ্ঠানে গিয়ে দেখা করতে বলেন। পরে এ নিয়ে অভিমানে আত্মহত্যা করে অরিত্রী।

প্রসঙ্গত, ভিকারুননিসা নুন অ্যান্ড কলেজ রাজধনীর বেইলি রোডে অবস্থিত মেয়েদের একটি স্বনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ১৯৫২ সালে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান প্রদেশের গভর্নর ফিরোজ খান নুনের সহধর্মিনী ভিকারউন নিসা নূন মেয়েদের জন্য আধুনিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শুরু করার লক্ষ্যে স্কুলটি প্রতিষ্ঠা করেন। তাঁর নামানুসারেই স্কুলটির নামকরণ করা হয়। 

স্কুলটির কার্যক্রম মূলত এর প্রধান শাখা বেইলি রোডকে কেন্দ্র করে ঘটে থাকে। তবে একই প্রশাসনের অধীনে স্বতন্ত্র আরও তিনটি শাখা গড়ে তোলা হয়েছে যেগুলো রাজধানীর ধানমন্ডি, আজিমপুর ও বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় অবস্থিত।