২৮ নভেম্বর ২০২৪, ১৯:৩৩

নতুন নিয়োগপ্রাপ্তদের এমপিও চালুর বিষয়ে যা জানাল মাউশি

মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)  © সংগৃহীত

গত ২১ নভেম্বর স্কুল-কলেজের শিক্ষক-কর্মচারীদের এমপিও আবেদনের সময়সীমা পুনর্নির্ধারণ করে আদেশ জারি করে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)। এতে বলা হয়, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের আওতাধীন এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের (স্কুল ও কলেজ) অনলাইন এমপিও সংক্রান্ত যাবতীয় আবেদনের সময়সূচি ও নির্দেশনা অনুযায়ী নিষ্পত্তি করার জন্য সময়সীমা পুনর্নির্ধারণ করা হলো। তবে এদিকে নিয়োগের প্রায় তিন মাস পর এখনও এমপিও চালু না হওয়ায় দুর্দশায় পড়েছেন সর্বশেষ ৫ম গণবিজ্ঞপ্তি থেকে নিয়োগপ্রাপ্ত বেশ কয়েকজন।

হতাশা প্রকাশ করে তারা বলেন, এর আগে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)-এর চেয়ারম্যান ও সচিবসহ অন্যান্যদের অদক্ষতা ও অবহেলায় ১৭তম নিবন্ধনের কার্যক্রম শেষ করতে প্রায় চার বছর লেগেছে। ১৭তম শিক্ষক নিবন্ধনের সার্কুলার ২০২০ সালে হয়। কিন্তু করোনা ও এনটিআরসিএর গড়িমসির কারণে এই পরীক্ষা আয়োজন শেষ করতে ৪ বছরের বেশি সময় লাগে। গত সেপ্টেম্বরে নিয়োগ পেলেও নতুন করে এখন এমপিও নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়েছে।

১৭তম নিবন্ধনে পাস করা জান্নাতুল ফেরদৌস গত সেপ্টেম্বর থেকে ঢাকা জেলার একটি মাধ্যমিক স্কুলে সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগ পান। তবে চাকরির বয়স প্রায় তিন মাস পার হলেও এখনও এমপিও পাননি। কবে নাগাদ পাবেন সেটাও অনিশ্চিত। তিনি আক্ষেপ প্রকাশ করে জানান, প্রায় তিন মাস পার হতে চলল। এখনও এমপিও পাইনি। আমাদের পারিবারিক খরচ বহন করাও কষ্টসাধ্য হয়ে গেছে। যত দ্রুত সম্ভব এমপিও চালু করা উচিত। এভাবে অপেক্ষায় রাখার কোনো মানে নাই।

তবে এমপিও আবেদনের বিষয়গুলো কবে নিষ্পত্তি হবে নতুন নিয়োগপ্রাপ্তরা কবে এমপিও পাবেন? অধিদপ্তরের কোনো পরিকল্পনা আছে কিনা জানতে চাইলে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক এ বি এম রেজাউল করীম দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, প্রতিমাসে অধিদপ্তরের একটি মিটিং হয়, সেখানে এমপিও আবেদন সংক্রান্ত আলোচনা হবে। এই মুহূর্তে এরচেয়ে বেশি তথ্য বলা যাবে না। তবে আমরা দ্রুত সময়ের মধ্যে নতুন নিয়োগপ্রাপ্তদের এমপিও নিয়ে কাজ করবো। যারা অপেক্ষায় আছেন, আশা করছি তাদের বেশিদিন কষ্ট করতে হবে না। আবেদনকারীদের বিষয়ে আমাদের কর্যক্রম চলমান রয়েছে।

২১ নভেম্বর এমপিও আবেদনের বিষয়ে মাউশির নির্দেশনায় আরও বলা হয়, প্রতিষ্ঠান কর্তৃক এমপিও সংক্রান্ত অনলাইন আবেদন প্রতি জোড় মাসের ৬ তারিখের মধ্যে প্রেরণ। উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তারা তাদের কাছে আসা এমপিও সংক্রান্ত অনলাইন আবেদন প্রতি জোড় মাসের ১২ তারিখের মধ্যে নিষ্পত্তি করবেন। জেলা শিক্ষা কর্মকর্তারা তাদের কাছে আসা অনলাইন এমপিও আবেদন প্রতি জোড় মাসের ২০ তারিখের মধ্যে নিষ্পত্তি করবেন।

অঞ্চলের পরিচালক/উপপরিচালকরা (মাধ্যমিক) প্রতি বিজোড় মাসের ৬ তারিখের মধ্যে এমপিও সংক্রান্ত অনলাইন আবেদন নিষ্পত্তি করে অনুমোদিত আবেদন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরে পাঠাবেন। মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের সংশ্লিষ্ট শাখা প্রতি বিজোড় মাসের ৮ তারিখের মধ্যে অঞ্চল থেকে অনুমোদিত আবেদন পুনঃযাচাই করে EMIS সেলে পাঠাবেন। প্রতি বিজোড় মাসের ১০ থেকে ১২ তারিখের মধ্যে এমপিও সভা অনুষ্ঠিত হবে বলেও জানানো হয়।