সরকারি মাধ্যমিকের শিক্ষক-কর্মকর্তাদের বদলির আবেদন অনলাইনে, বছরে দুবার
সরকারি মাধ্যমিক স্কুলের শিক্ষক ও মাধ্যমিক পর্যায়ে কর্মরত শিক্ষা কর্মকর্তাদের বদলির আবেদন এখন থেকে অনলাইনে গ্রহণ করা হবে। বছরে দুবার, এপ্রিল ও অক্টোবর মাসে সরকারি স্কুলের প্রধান শিক্ষক, সহকারী প্রধান শিক্ষক, সিনিয়র শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকরা বদলির আবেদন করতে পারবেন। আঞ্চলিক উপপরিচালক, সহকারী পরিচালক, জেলা, উপজেলা বা থানা শিক্ষা কর্মকর্তা ও সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তাদেরও একই সময়ে বদলি আবেদন করতে হবে।
কোন শিক্ষক বা কর্মকর্তা একই কর্মস্থলে তিন বছর নিয়োজিত থাকার পর বদলি আবেদন করতে পারবেন। তবে, বদলির আবেদনের জন্য উপযুক্ত কারণ দেখাতে হবে।
সরকারি মাধ্যমিক স্তরে কর্মরত শিক্ষক-কর্মকর্তাদের বদলি নীতিমালা প্রকাশ করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। গতকাল বুধবার (৩১ জুলাই) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব সোলেমান খান স্বাক্ষরিত এ নীতিমালাটি জারি করা হয়। সেই নীতিমালা থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
নীতিমালা দেখতে ক্লিক করুন এখানে
নীতিমালায় মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, নির্ধারিত সময় এবং শর্তের বাইরে কাউকে বদলি করা যাবে না। তবে, সরকার উপযুক্ত মনে করলে যেকোনো শিক্ষক-কর্মকর্তাকে যে কোনো সময় কোনো রকম শর্ত ছাড়াই বদলি করতে পারিবে। বদলির ক্ষেত্রে আবেদনকারীর নিজ জেলা বা পার্শ্ববর্তী জেলায় পদায়নের বিষয়ে গুরুত্ব দিতে হবে। স্বামী-স্ত্রী উভয়ই সরকারি কর্মচারী হলে স্বামী-স্ত্রীর কর্মস্থলে অথবা নিকটবর্তী কর্মস্থলে বদলি-পদায়ন অগ্রাধিকার পাবে।
নীতিমালায় আরো বলা হয়েছে, অবসর প্রস্তুতিমূলক ছুটিতে যাওয়ার এক বছর আগে কোনো শিক্ষক-কর্মচারী অবসরভাতা গ্রহণের সুবিধার্থে কোনো সুবিধাজনক কর্মস্থলে বদলির আবেদন করলে তার আবেদন সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করতে হইবে। এ ধরনের বদলির ক্ষেত্রে সময়সীমা প্রযোজ্য হবে না।
মহানগরী ও জেলা সদরে অবস্থিত সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, স্কুল এন্ড কলেজে কর্মরত কোনো শিক্ষক একই প্রতিষ্ঠানে একাধারে চার বছরের বেশি সময় কর্মরত থাকলে তাকে তার নিজ জেলায় অথবা কর্মস্থলের পার্শ্ববর্তী জেলায় বদলি করা যাবে। তবে, তার বিরুদ্ধে বিদ্যালয়ে বিশৃঙ্খল পরিবেশ তৈরি অথবা অন্য কোনো অভিযোগ উত্থাপিত হলে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়া সাপেক্ষে যথাযথ কর্তৃপক্ষ আইনানুগ ব্যবস্থা প্রয়োজনে ফৌজদারি ব্যবস্থা গ্রহণ করে তাকে অন্যত্র বদলি-পদায়ন করতে পারবে।
নীতিমালায় আরও জানানো হয়েছে, সমতলের কোনো শিক্ষক-কর্মকর্তাকে পার্বত্য অঞ্চল (রাঙ্গামাটি, বান্দরবান, খাগড়াছড়ি) এবং দুর্গম, চর ও হাওড় অঞ্চলে বদলি করা হলে বদলিকৃত কর্মস্থলে এক বছর চাকরির পর তিনি পুনরায় বদলির জন্য আবেদন করতে পারিবেন। এ ক্ষেত্রে তার আবেদন গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করতে হবে।